নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাড়া বই প্রকাশ

ব্যাখ্যা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’ নামক গ্রন্থের পান্ডুলিপিতে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি স্থান না পাওয়ার ব্যাখ্যা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। গত শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক জি এম আবুল কালাম আজাদের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে গ্রন্থের প্রকাশনার অস্পষ্টতার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’ গ্রন্থের প্রকাশনা নিয়ে অস্পষ্টতার সৃষ্টি হওয়ায় তা দূরীকরণে বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিবৃতি প্রকাশ করছে।

‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’ গ্রন্থের প্রকাশনা নিয়ে অস্পষ্টতা দূরীকরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’ গ্রন্থের পান্ডুলিপি তৈরি ও প্রকাশনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় ২০১৩ সালের জুন মাসে। এ বিষয়ে তখন উপদেষ্টা কমিটি ও সম্পাদনা নামে দুইটি কমিটি গঠিত হয়। ওই কমিটি দুইটি পান্ডুলিপি চূড়ান্তের পর গ্রন্থটি ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত হয়। গ্রন্থটি প্রকাশনার পরপরই এতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যত্যয় পরিদৃষ্ট হলে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর গ্রন্থটির বিতরণ বন্ধের নির্দেশ দেন এবং গ্রন্থটি রিভিউয়ের জন্য একজন ডেপুটি গভর্নরের নেতৃত্বে একটি রিভিউ কমিটি গঠন করেন। বিবৃতিতে বলা হয়, এরই মধ্যে রিভিউ কমিটি দুইটি সভা করেছে। সভায় বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো হলো ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবেশদ্বারে (সোনালি গেটে) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপিত হয়েছে তার ছবিসহ গ্রন্থটিতে জাতির জনকের অবদানের যে ধারাবাহিক বর্ণনা (পৃষ্ঠা ৫১, ৭৭ ইত্যাদি) রয়েছে সেখানেও তার ছবি সংগ্রহ করে সেগুলো সন্নিবেশ করা হবে। গ্রন্থটির অ্যালবাম অনুচ্ছেদে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত বিভিন্ন টাকার নোটের ছবি সংযোজন করা হবে। গ্রন্থটির সব অধ্যায় পুনরায় সম্পাদিত হবে এবং কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও ছবি বাদ দেওয়া হবে ইত্যাদি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’ গ্রন্থটি দুইটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম পর্বে (১-৩৪২ পৃষ্ঠা) রাখা হয়েছে বিভিন্ন প্রবন্ধ, নিবন্ধ, স্মৃতিচারণা ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ইতিহাস সংক্রান্ত বিষয়। বইটির দ্বিতীয় পর্বে (৩৪৩-৩৬১ পৃষ্ঠা) রাখা হয়েছে ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালীন ইতিহাস ঐতিহ্য এবং বিভিন্ন সময়ে সভা, সেমিনার, টেনিং প্রোগ্রাম এবং উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন সংক্রান্ত বিভিন্ন ছবি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিষ্ঠার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও গ্রন্থটিতে তার কোনো ছবির স্থান পায়নি। অথচ দুই পর্বের বইটিতে পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খানের তিনটি এবং মোনায়েম খানের একটি গ্রুপ ছবি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুকন্যা ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ছবি থাকলেও তা বেশ অস্পষ্ট এবং ছোট। এসব কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে বইটি বিতরণ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close