নিজস্ব প্রতিবেদক
অর্থবছরের প্রথম মাস
রেমিট্যান্স এসেছে ১৩১ কোটি ৭০ লাখ ডলার
২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৩১ কোটি ৭০ লাখ (১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি, গত অর্থবছরের জুলাই মাসে ১১১ কোটি ৫৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের খরা কাটিয়ে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে গত অর্থবছর শেষ করে বাংলাদেশ। নতুন অর্থবছরের প্রথম মাসেও সেই ধারা বজায় থাকাকে সুখবর বলছেন অর্থনীতিবিদরা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি রেমিট্যান্সের নিম্নগতি সরকারের নীতিনির্ধারকদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল। রেমিট্যান্স বাড়াতে মাশুল না নেওয়াসহ নানা ঘোষণা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে এখনো মাশুল কমানোর অর্থমন্ত্রীর সেই ঘোষণা বাস্তবায়ন হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা ১৩১ কোটি ৭০ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই মাসে এসেছিল ১১৫ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম মাসে এসেছিল ১০০ কোটি ৫৫ লাখ ডলার।
গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ১৩৮ কোটি ১৫ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে প্রবাসীরা চলতি অগাস্ট মাসে আরো বেশি রেমিট্যান্স পাঠাবেন বলে প্রত্যাশা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি, স্থানীয় বাজারে ডলারের তেজিভাব এবং হুন্ডি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের কারণে রেমিট্যান্স বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের জিডিপিতে ১২ শতাংশ অবদান রাখে প্রবাসীদের পাঠানো এই বিদেশি মুদ্রা। বর্তমানে ১ কোটির বেশি প্রবাসী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। দেশের রেমিট্যান্সের অর্ধেকের বেশি আসে মধ্যপ্রাচ্যের ছয় দেশ থেকে। এই দেশগুলো হলো সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, কুয়েত ও বাহরাইন থেকে। রেমিট্যান্স বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও রয়েছে সন্তোষজনক অবস্থায়। গত বৃহস্পতিবার দিন শেষে রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার। আন্তঃব্যাংক মুদ্রা বাজারে প্রতি ডলার এখন ৮৩ টাকা ৭৫ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে। এক বছর আগে এই দর ছিল ৮০ টাকা ৫৯ পয়সা। এ হিসাবে এক বছরে ডলারের দাম বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ।
"