নিজস্ব প্রতিবেদক
মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজারে ‘ভয়ের কিছু নেই’
মুদ্রানীতির নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা নেই বলে বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।
গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের মুদ্রানীতি ঘোষণার পর বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘মুদ্রানীতি নিয়ে বিনিয়োগকারীরা অনেক নার্ভাস ছিলেন। যেহেতু এডি রেশিও (ঋণ-আমানত অনুপাত) কমানো হয়নি, তাই অতটা ভয়ের কিছু নেই।’
সরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ অপরিবর্তিত রেখে বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ বজায় রাখতে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
যেসব ব্যাংক আগ্রাসীভাবে সীমার অতিরিক্ত ঋণ দিয়েছে, তাদের জুনের মধ্যে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ঋণ আনতে সময় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নাসির বলেন, ‘কিছু ব্যাংক হয়তো নিয়মের বেশি ঋণ দিয়ে ফেলেছে, তাদের আমানত বাড়িয়ে ঋণের পরিমাণ কমিয়ে নিয়মে নিয়ে আসতে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগতে পারে। আশা করা যায়, বেশির ভাগ ব্যাংক ইতোমধ্যে নিয়মে চলে এসেছে।’
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম এডিআর কমানো প্রসঙ্গে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না। বেশ কিছু ব্যাংক আগ্রাসী ব্যাংকিং করেছে। আমানত না বাড়িয়ে ঢালাও ঋণ বিতরণ করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর লাগাম টেনে না ধরলে ব্যাংকিং খাতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।’
জানুয়ারি-জুন মেয়াদের নতুন এই মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে ঋণ-আমানত অনুপাতের (এডিআর) কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন গভর্নর ফজলে কবির।
"