সাহারুল হক সাচ্চু, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ)

  ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯

উল্লাপাড়ায় গ্রাম্য সড়কে সোলার লাইট স্ট্রিট স্থাপন পরিকল্পনা

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ‘আমার গ্রাম হবে আমার শহর’ বাস্তবায়নে সোলার লাইট স্ট্রিট স্থাপনে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে রেহাই পেতে ১৪টি ইউনিয়নে এর স্থাপনে বিভিন্ন যৌক্তিকতা তুলে ধরা হচ্ছে। এটি স্থাপনের মাধ্যমে গ্রামীণ বসতিদের সব দিক থেকেই উপকৃত হবেন। উপজেলার বিভিন্ন বিভাগের তথ্য নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যাদি জানানো হয়েছে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস (পিআইও) সূত্রে জানা গেছে, ৪১৪ দশমিক ৮৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের উল্লাপাড়া উপজেলার বর্তমান জন সংখ্যা ৬ লাখ ২৫ হাজার ৭৯৮ জন। এ জনসংখ্যার ৯১ দশমিক ১৬ ভাগ ১৪ ইউনিয়নের গ্রামে বসবাস করে থাকেন। এসব ইউনিয়নের প্রায় ৩০ কিলোমিটার গ্রাম্য সড়ক পথে প্রায় ৩ হাজার সোলার লাইট স্ট্রিট স্থাপনকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি স্থাপন হলে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর রাতের বেলায় চলাচলে সুবিধাসহ নিরাপত্তা, গ্রামে বসবাসে আগ্রহী সংখ্যা বাড়বে, গ্রামীণ অর্থনীতির গতি বাড়বে, বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও উৎপাদিত পন্যের ন্যায্য মূল্য পাওয়া ছাড়াও কৃষি, মৎস্য, প্রাণীসম্পদ, স্বাস্থ্য ও সমবায় খাতে উন্নতি হবে। এসব মিলে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি আমার গ্রাম হবে আমার শহর (এসডিজি) দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

এদিকে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে জানানো হয়েছে যে, উল্লাপাড়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কৃষি, মৎস্যসহ বিভিন্ন খাতে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। অসময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে। এর প্রভাবে সব শেষ হিসেবে কৃষি খাতে বছরে প্রায় ৪ কোটি ২৭ লাখ টাকার ও মৎস্য খাতে প্রায় ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হচ্ছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মো. মাহবুবুর রহমান ভুইয়া প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, এরই মধ্যে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সোলার লাইট স্ট্রীট স্থাপন করা হয়েছে। উল্লাপাড়ায় আমার গ্রাম হবে আমার শহর বাস্তবায়নে জলবায়ু পরিবর্তন তহবিল থেকে সোলার লাইট স্ট্রীট স্থাপনে অর্থ বরাদ্দের দরকার রয়েছে। এ অর্থ বরাদ্দ হলে প্রকল্পটির দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close