আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সোমালিয়ার আল শাবাবের হামলায় নিহত ১০
রমজান শুরুর দুই মাস পর সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে প্রথম বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। শনিবার মোগাদিসুর কেন্দ্রস্থলে দুটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর পর সরকারি একটি ভবনে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে ১০ জন নিহত ও অন্তত ২০ বেসামরিক আহত হয়েছেন।
বিবিসি জানায়, বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক সাংবাদিক সরকারি ওই ভবনটির সামনে ব্যাপক গোলাগুলি প্রত্যক্ষ করেছেন। ওই ভবনটিতে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দফতর আছে এবং পুলিশও ভবনটি ব্যবহার করে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। জঙ্গিগোষ্ঠী আল শাবাব হামলার দায় স্বীকার করেছে। সাধারণত রমজানের সময় মোগাদিসুতে হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি করে আল শাবাব। তাই রোজার সময় হামলা ঠেকাতে মে মাসে মোগাদিসুজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল। তখন রাজধানীজুড়ে আরো বেশি সড়ক অবরোধ ও চেকপয়েন্ট বসিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এ হামলায় প্রমাণিত হয়েছে, বাড়তি নিরাপত্তা স্বত্ত্বেও এখনো মোগাদিসুতে বড় ধরনের হামলা চালাতে সক্ষম আল শাবাব।
স্থানীয় সময় বেলা ১১টার সময় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে একটি গাড়ি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, আরেকটি গাড়ি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দফতরের সামনে। আল শাবাবের সামরিক অভিযানবিষয়ক মুখপাত্র আব্দিয়াসিস আবু মুসাব জানিয়েছেন, তারাই গাড়ি বোমা হামলা দুটি চালিয়েছেন এবং হামলার পর তাদের যোদ্ধারা সরকারি ওই ভবনটির ভেতরে অবস্থান নিয়েছে। তাদের যোদ্ধারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের কর্মী ও সেখানে নিরাপত্তা রক্ষায় দায়িত্বে থাকা ২০ জনেরও বেশি লোককে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তা মেজর মোহাম্মদ হুসেইন জানিয়েছেন, কিছুটা দূরে প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটার পর একটি গাড়িতে করে আল শাবারের যোদ্ধারা সরকারি ওই ভবনটির সামনে আসে, এরপরই দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে। তিনি বলেন, তারা গাড়ি থেকে নেমেই রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটায়। সরকারি ওই ভবনটিতে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দুই ঘণ্টা ধরে তীব্র লড়াইয়ের পর হামলাকারী সব জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে বলে আল জাজিরাকে জানিয়েছে পুলিশ। মোগাদিসুতে প্রায়ই প্রাণঘাতী হামলা চালায় আল শাবাব। ২০১১ সালে জঙ্গিগোষ্ঠীটিকে রাজধানী থেকে হটিয়ে দেওয়া হলেও রাজধানীর আশপাশে এখনো তাদের শক্ত অবস্থান রয়ে গেছে। সোমালিয়ার পশ্চিমাপন্থি সরকারকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করে কট্টর ইসলামি শরিয়াভিত্তিক শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে আসছে আল শাবাব।
"