reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

নাসায় কাজের সুযোগ পাচ্ছেন দেশের ৫ তরুণ

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসায় যাওয়ার এবং সেখানে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাবেন দেশের ৫ তরুণ। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ৫ তরুণ হলেন আবু সাবিক মাহদী, সাব্বির হাসান, বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী, কাজী মাইনুল ইসলাম ও এস এম রাফি আদনান। তারা নাসা আয়োজিত স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮ এর একটি বিভাগে জয়ী হয়েছিলেন।

‘অলিক’ নামের ‘বেস্ট ইউজ অব ডেটা’ বিভাগে তৈরি ‘লুনার ভিআর’ সারা বিশ্বের ১ হাজার ৩৯৫টি দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বিজয়ী হয়েছে। এ প্রতিযোগিতায় তাদের প্রকল্প পেছনে ফেলেছে ক্যালিফোর্নিয়া, কুয়ালালামপুর ও জাপানের প্রকল্পকে।

লুনার ভিআর প্রকল্পের টিম লিডার আবু সাবিক মাহদী জানান, তারা নাসার তথ্য ব্যবহার করে একটি অ্যাপ তৈরি করেছেন। তাদের প্রকল্পটি মূলত নাসার তথ্য ব্যবহার করে ভিআর উপাদান তৈরি। এতে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারকারী চাদে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পাবেন। নাসার সরবরাহ করা বিভিন্ন উপাদান থেকে থ্রিডি মডেল ও তথ্য সংগ্রহ করেন তারা।

নাসা অ্যাপোলো ১১ মিশনের ল্যান্ডিং এরিয়া ভ্রমণ, চাঁদ থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা এবং চাদকে একটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আবর্তন করা— এই তিন ভিন্ন পরিবেশকে ভার্চুয়ালভাবে তৈরি করেছে টিম অলিক। তারা গত অক্টোবর মাসে দেশে আয়োজিত ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

এর আগে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর ঘোষিত প্রাথমিক ফলে বিশ্বের ৭৯টি দেশের ২ হাজার ৭২৯টি দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের দুটি ক্যাটাগরির শীর্ষ চারে উঠে আসে বাংলাদেশ।

এ প্রসঙ্গে ডাক, টেলিযোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মিত হচ্ছে আমাদের তরুণদের হাত ধরে। এতে আমরা খুশি। আমি টিম অলিক এবং বেসিসকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এ অর্জন ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার আরেকটি অনন্য দৃষ্টান্ত।

বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, আমাদের লক্ষ্যই ছিল গত তিন আসরের তুলনার ভালো করার। প্রথমবারের মতো নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে জয়ী হওয়া বড় অর্জন। এতে আরেকটি বড় মাইলফলক অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নাসা,মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র,শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close