আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আর নেই। তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি এক কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী এবং নেতাকর্মী রেখে গেছেন।

সৈয়দ আশরাফ দীর্ঘ দিন ধরে ফুসফুসে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। চিকিৎসাজনিত কারণে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংসদে অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ব্যাংককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মারা যান।

সৈয়দ আশরাফ ১৯৫২ সালে ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অন্যতম সংগঠক ছিলেন।

সৈয়দ আশরাফ ছাত্রজীবনে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। স্বাধীনতার পর ময়মনসিংহ জেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহপ্রচার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক শোক বার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

পিডিএসও/হেলাল