ক্যাপ্টেন আবিদও মারা গেলেন
বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানের প্রধান পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান আর বেঁচে নেই। কাঠমান্ডুর নরভিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে তিনি মারা যান। ইউএস বাংলার জনসংযোগ শাখার মহা ব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফলে বিমানটিতে থাকা দুই পাইলট ও দুই ক্রুর মধ্যে শুধু ক্রু কে এইচ এম শাফি বেঁচে আছেন। সোমবার দুর্ঘটনার পর পরই বিমানটির কো-পাইলট প্রিথুলা রশিদ ও ক্রু খাজা হোসেন মারা যান। এর পরই চলে গেলেন প্রধান পাইলট আবিদ সুলতান।
জানা গেছে, ত্রিভুবন বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলরুম (এটিসি) থেকে পাইলট আবিদকে অবতরণের ভুল নির্দেশনা দেয়া হয়। কন্ট্রোলরুমের সঙ্গে তার সর্বশেষ কথোপকথনের অডিও রেকর্ডে শোনা যায়, কন্ট্রোলরুম থেকে বিমানের পাইলটকে বিমানবন্দরের ডানদিকের দুই নাম্বার রানওয়েতে অবতরণের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। পরে আবিদ বলেন, ঠিক আছে স্যার।
নির্দেশনা অনুযায়ী, তিনি বিমানটি বিমানবন্দরের ডানদিকে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান কন্ট্রোলরুমে। কিন্তু ডানদিকে রানওয়ে ফ্রি না থাকায় তিনি আবারও কন্ট্রোলরুমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় তাকে ভিন্ন বার্তা দেয়া হয়। এবারে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি বর্তমান অবস্থানে থাকতে পারবেন? এ সময় পাইলট আবিদ দুই নাম্বার রানওয়ে ফ্রি করার জন্য কন্ট্রোলরুমের কাছে অনুরোধ জানান। কিন্তু তাকে আবারও ভিন্ন বার্তা দেয়া হয়।
এর কিছুক্ষণ পর পাইলট আবিদ বলেন, স্যার আমি আবারও অনুরোধ করছি রানওয়ে ফ্রি করুন। এর পর পরই বিমানটি বিকট শব্দ করতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পর স্থানীয় সময় সোমবার বেলা ২টা ১৮ মিনিটে বিমানটি ত্রিভুবন বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে আছড়ে পড়ে। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৭১ আরোহীর মধ্যে পাইলট আবিদসহ ৫০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২৫ বাংলাদেশি যাত্রী।
উল্লেখ্য, ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র আবিদ বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট ছিলেন। তিনি বিমানবাহিনীর মিগ-২১ চালানোর অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ ছিলেন।
পিডিএসও/তাজ