পার্থ মুখোপাধ্যায়, কলকাতা

  ২৮ জানুয়ারি, ২০২০

অবিচার সংশোধন করতেই নাগরিকত্ব আইন : মোদি

ঐতিহাসিক অবিচারকে সংশোধন করতে এবং প্রতিবেশী দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে এ দেশে আশ্রয় নেওয়া সংখ্যালঘুদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতেই সিএএ বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন আনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

দিল্লিতে এনসিসি সমাবেশ থেকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে জোর সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সভায় বক্তব্য রাখার সময় যেসব রাজনৈতিক বিরোধীরা সিএএ’র সমালোচনা করছেন তাদেরও নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেছেন, যারা সংবিধানের কথা বলছে তারাই একদিন সংবিধানকে বাতিলের দলে ফেলে দিয়েছিল। দেশভাগের সময় ঘটে যাওয়া অন্যায়ের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সেই সময় ভারতজুড়ে একটি বিভেদ রেখা টানা হয়েছিল; যা মানুষকে বিভক্ত করেছিল।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে এ দেশে আশ্রয় নেওয়া শুধুমাত্র অমুসলিম শরণার্থীদেরই নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যদিও এই আইনটি পাস হওয়ার পর এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন অনেকেই। বিরোধীদের মতে, এই আইন বৈষম্যমলক এবং সংবিধানে বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী। দেশের বিরোধীদলগুলি কেন্দ্রকে এই আইন প্রত্যাহার করার কথাও বলেছে।তারই পাল্টা হিসেবে এবার সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এদিকে দিল্লিতে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এক ঘণ্টার মধ্যে ফাঁকা করে দেওয়া হবে শাহিনবাগ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের গোলি মারো মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই আরও এক বিজেপি সাংসদের গলায় হুমকির সুর। দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনী প্রচারে নিজের সংসদীয় এলাকা বিকাশপুরীতে এক জনসভায় পশ্চিম দিল্লির বিজেপি সাংসদ প্রবেশ বর্মা থেকে শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেছেন, তারা আপনাদের ঘরে ঢুকে মেয়ে-বোনেদের খুন, ধর্ষণ করবে। এখনও সময় আছে। আগামী দিনে কিন্তু মোদি-শাহ বাঁচাতে আসবে না।

এরপরই তিনি বলেছেন, মনে রাখবেন, এটা শুধুমাত্র একটা নির্বাচন নয়। এই নির্বাচনই ঠিক করবে দেশের একতা।এখানেই থামেননি পশ্চিম দিল্লির বিজেপি সাংসদ প্রবেশ বর্মা। হুমকির সুরে তাকে বলতে শোনা গিয়েছে, দিল্লিতে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এক ঘণ্টার মধ্যে ফাঁকা করে দেওয়া হবে শাহিনবাগ। সরকারি জমিতে এক মাসের মধ্যে যেসব মসজিদ গড়ে উঠেছে, সেগুলো গুড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও শোনা গিয়েছে বিজেপি সাংসদের গলায়।

প্রথমে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র, তার পর অনুরাগ ঠাকুর, এবার প্রবেশ বর্মার এই বিতর্কিত মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যদিও অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, আগে গোটা ভিডিওটি দেখা উচিত। তারপর দিল্লিবাসীর মন বোঝা উচিত। তারও আগে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রের নির্বাচনী প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। টুইট করে বিজেপি প্রার্থী কপিল মিশ্র বলেছিলেন, শাহিনবাগের মাধ্যমে পাকিস্তান ভারতে ঢুকে পড়েছে। মিনি পাকিস্তান তৈরি হয়েছে দিল্লিতে। পাকিস্তানের দাঙ্গাবাজরা রাস্তা দখল করে বসে আছে।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নরেন্দ্র মোদি,নাগরিকত্ব আইন,সংশোধন,ভারত
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close