সীমান্ত রক্ষায় ‘মহাপ্রাচীর’ তৈরি করবে শিনজিয়াং
চীনের সহিংসতা কবলিত দূর পশ্চিমাঞ্চলীয় স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল শিনজিয়াং সীমান্তবর্তী দেশগুলো থেকে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে ‘মহাপ্রাচীর’ তৈরির পরিকল্পনা করেছে। গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে শিনজিয়াংয়ের গভর্নরের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
গত কয়েক বছরে স্থানীয় উইগুর সম্প্রদায়ের সঙ্গে চীনা হানদের সহিংসতায় কয়েকশত লোক নিহত হয়েছে। অধিকাংশ সহিংসতাই ঘটেছে শিনজিয়াংয়ের দক্ষিণাঞ্চলের উইগুর অধ্যুষিত এলাকায়। শিনজিয়াংয়ের এসব সহিংসতার জন্য চীন কট্টরপন্থি মুসলিম ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দায়ী করে আসছে, এদের কারো কারো সঙ্গে বিদেশি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর সম্পর্ক আছে বলে অভিযোগ বেইজিংয়ের।
সরকারি দৈনিক চায়নার প্রতিবেদনে শিনজিয়াংয়ের গভর্নর শোহরাত জাকির বলেছেন, ‘মহাপ্রাচীর’ তৈরির মাধ্যমে সীমান্তে নজরদারি বাড়াবে শিনজিয়াং। আঞ্চলিক গণপরিষদের বার্ষিক অধিবেশন শুরুকালে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থাপনায় কোনো ফাঁক না রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব আমরা এবং প্রধান এলাকগুলোকে সম্পূর্ণ নিরাপদ রাখব। সীমান্ত বরাবর রাস্তা ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে এবং উন্নত প্রযুক্তি স্থাপন করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সালে সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল ছিল, যা জনগণের মধ্যে নিরাপত্তার অনুভূতি তৈরি করেছে। বিচ্ছিন্নতাবাদকে ফিরে আসতে দিব না আমরা এবং ফের ছাই থেকে ধর্মীয় চরমপন্থা যেন উত্থিত হতে না পারে তা নিশ্চিত করবো, পাশাপাশি সন্ত্রাসী হামলার যবনিকাপাত ঘটাব। গত বছর চীনা পার্লামেন্টের বার্ষিক অধিবেশন চলাকালে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও ‘মহাপ্রাচীরের’ কথা বলেছিলেন।
সেখানে শিনজিয়াংয়ের আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন, শিনজিয়াংয়ের স্থিতিশীলতা ধরে রাখার জন্য লোহার মহাপ্রাচীর বানানো দরকার। আগের বছরগুলোর তুলনায় গত বছর শিনজিয়াং অপেক্ষাকৃত শান্ত ছিল। এর আগের বছরগুলোতে ধারাবাহিক সহিংসতার পর নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটানো হয়। এরমধ্যে শিনজিয়াংয়ের সব বাসিন্দার ডিএনএ নমুনা ও অন্যান্য বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
পিডিএসও/তাজ