এম. ইমরান হোসাইন, সংবাদকর্মী

  ২৪ আগস্ট, ২০১৮

ঈদের ছুটিতে জমে উঠেছে পারকি সমুদ্র সৈকত

পর্যটকদের অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি পারকি সমুদ্র সৈকত। ঈদুল আযহার ছুটিতে জমে উঠেছে সৈকত চর। ভ্রমনপ্রিপাসু মানুষেরা ছুটি পেলে স্বজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করতে চলে আসেন চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ২৩ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত পারকি সমদ্র সৈকতে। বার আউলিয়ার পূর্ণভূমি দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বারশত ও রায়পুর ইউনিয়নের অংশ নিয়ে পারকির সাগর চরে জেগে ওঠা বিশাল ঝাউবাগান নিয়ে এক অপরূপ প্রকৃতিতে গড়ে উঠেছে এ সমদ্র সৈকত। পারকি সমুদ্র সৈকত দেশের পর্যটক প্রেমীদের নিকট একটি প্রিয় স্থান। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য হিসেবে খ্যাত এই সমুদ্র সৈকত যেন এক দৃষ্টি নন্দন প্রকৃতি। সারিবদ্ধ হাজার হাজার ঝাউ গাছের সবুজ প্রকৃতিতে গড়ে উঠা এই সৈকত পর্যটকদের কাছে খুবই ভ্রমণ প্রিয় জায়গা। সাগর ও প্রকৃতি প্রেমী হাজার হাজার পর্যটক এই সমুদ্র সৈকতের তিলোত্তমা রূপ দেখতে সৈকত এলাকায় ছুটে আসেন প্রতিনিয়ত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অধিকতর প্রচারের ব্যবস্থা না থাকলেও ইতোমধ্যে আপন মহিমায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আনোয়ারার এই সমুদ্র সৈকত।

দূরদুরান্ত থেকে ঈদের ছুটি বা অন্য যে কোনদিন ছুটি পেলে ব্যস্ত সময় পার করতে স্বজন, বন্ধু, প্রেমিক ও প্রেমিকাসহ এখানে ছুটে আসছেন হাজারো পর্যটক। আনোয়ারার সমুদ্র উপকুলে গড়ে উঠা এই সৈকতে গিয়ে দেখা যায় পারকির বিস্তীর্ণ বালু চরে প্রায় দশ হাজারেরও অধিক ঝাউ গাছের আদলে গড়ে উঠেছে পারকি সমুদ্র সৈকত। বিকেলের হেলে পড়া সূর্যের আলোয় বালু চরের উপর শিশু কিশোরদের ছুটোছুটি এবং প্রিয়জনকে কাছে নিয়ে দূর দিগন্তে সুর্য অস্তের অপরূপ দৃশ্যে আত্মাহারা হয়ে উঠে পর্যটকরা। আপন মনে চেয়ে থাকা নব দম্পতিদের তৃপ্ত মুখই বলে দেয় এখানে এসে আনন্দের সীমা নেই। প্রতিদিনই এখানে ভ্রমনে আসেন অসংখ্য মানুষ। সিএনজি, মাইক্রো বা বাস যোগে আগত পর্যটকদের আগমনে কয়েক কিঃমি দৈর্ঘের এই সৈকত পযর্টকে মুখরিত থাকে সবসময়। পারকি সৈকত নিয়ে দেশের পর্যটন সেক্টর ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ যদি একটু দৃষ্টি দেয় তাহলে অতি অল্প সময়ে দেশের অন্যতম আকর্ষনীয় পর্যটন স্পট হিসেবে পরিণত হবে এই সমুদ্র সৈকত।

কোনও রকম সুপরিকল্পিত ভাবে এই সমুদ্র সৈকত গড়ে না উঠলেও দিন দিন এই সৈকতে যেভাবে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে আনোয়ারা পারকি সমুদ্র সৈকতের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে বলেই মনে করেন পর্যটকরা। ঠিক কক্সবাজারের মত অতি দীর্ঘ না হলেও এখানেও রয়েছে সারি সারি ঝাউ গাছ আর বালু চর। একই ভাবে সূর্যাস্তের আবীর রঙের সমুদ্র এখান থেকেও দেখা যায়। আর কক্সবাজার কিংবা কুয়াকাটার মত প্রচুর লোকের সমাগম এখনো না ঘটায় এই সৈকতের রূপের সাথে যোগ হয়েছে কিছুটা নিঃন্তব্দতাও। যা শহরের ব্যস্ত একঘেঁয়ে জীবনের অবসান ঘটিয়ে ভ্রমন পিপাসুদের দিতে পারে বাড়তি প্রশান্তি।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে গড়ে উঠা আনোয়ারা উপকূলের পারকি সমুদ্র সৈকত ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও সরকারিভাবে কোনও হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ নানা সুযোগ সুবিধা না থাকায় অবহেলায় পড়ে রয়েছে অপরূপ সৌন্দর্য্যময় এই সমুদ্র সৈকতটি। একে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা একই সাথে পাহাড়, সমুদ্র, প্রাকৃতিক সহ সকল সুন্দর দর্শনীয় স্থান একসাথে দর্শনের সুযোগ পেয়ে প্রতিবছর আনোয়ারা লক্ষ লক্ষ ভ্রমনার্থীর আগম ঘটবে। তবুও এ পারকি সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য দেখতে ছুটে আসছেন প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক।

পিডিএসও/রিহাব

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ঈদের ছুটি,পারকি সমুদ্র সৈকত
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close