reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৬ মে, ২০২৪

অভিযোগ

কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় অকেজো চিলমারী শিল্পকলা একাডেমি

চিলমারী উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি।ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

‘ওকি গাড়িয়াল ভাই’ শিল্পী আব্বাসউদ্দীনের কণ্ঠে গাওয়া এই গানটি দিয়ে বিশ্বের কাছে কুড়িগ্রামের চিলমারী বন্দর ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। তা ছাড়া এক সময় চিলমারী থেকে অনেকেই ভাওয়াইয়া গানকে বুকে লালন করে দেশ-বিদেশে বেশ সুনাম অর্জন করেছে।

বর্তমানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় শিল্পীরা হারাতে বসেছে তাদের শিল্পকলা একাডেমি। প্রায় দশবছর ধরে কোন অস্তিত্ব নেই চিলমারী উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির। উপজেলা প্রশাসনের সঠিক তদারকি ও দায়িত্বহীনতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে শিল্পকলা একাডেমীর কোনো কার্যক্রম নেই বলে মনে করছেন সচেতন মহল। বর্তমানে শিল্পকলা একাডেমির কক্ষটি সবসময় বন্ধ থাকতে দেখা যায়।

এদিকে সরকারি নিয়মানুযায়ী শিল্পকলা একাডেমি পরিচালনায় ১০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি থাকার কথা থাকলেও এটা শুধু কাগজ আর কলমে পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে চেয়ার, টেবিল, হারমোনিয়াম, কীবোর্ডসহ সব ধরনের বাদ্যযন্ত্র ক্রয় করা হলেও এগুলো এখন পরিত্যক্ত ও অকেজো অবস্থায় রয়েছে বলে অভিযোগ সঙ্গীত প্রেমীদের।


  • দশবছর ধরে কোন অস্তিত্ব নেই চিলমারী উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির
  • সব ধরনের বাদ্যযন্ত্র ক্রয় করা হলেও এখন পরিত্যক্ত
  • দ্রুত নতুন কমিটি করে শিল্পকলাকে পুনরায় সক্রিয় করা হবে বলে জানান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান

অপরদিকে উপজেলা শিল্পকলার নামে যে সরকারি বরাদ্দ আসে সেই অর্থগুলো কোথায় যাচ্ছে এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষদের মধ্যে। দ্রুত সংস্কৃতি চর্চার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কমিটি পুনর্গঠন করে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়ে সঙ্গীত, নৃত্য, চারু ও কারুকলার শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবিও জানিয়েছেন সাংস্কৃতিক অঙ্গন।

প্রবীণ শিল্পী ও গানের শিক্ষক শ্রী জগদীশ চন্দ্র রায় বলেন, এখন শিল্পকলা একাডেমির ঘর আছে, যন্ত্রপাতি আছে, নেই কার্যক্রম। তা ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে সেই চর্চা না থাকায় সাংস্কৃতিক বিষয়ে পিছিয়ে পড়ছে চিলমারী উপজেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গন। তিনি মনে করেন প্রবীন শিল্পদের শিল্পকলায় ফিরিয়ে আনলেই আবারো পুরোনো দিনে ফিরে যাবে সঙ্গীত অঙ্গন।

উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত শিক্ষক শিল্পী মহব্বত আলী মজনু বলেন এ বিষয়ে জানান, শিল্পকলা একাডেমির এই হালের জন্য শুধু শিল্পকলাকে দায়ী করলে হবে না। তিনি মনে করেন এ অঞ্চলের মানুষের সঙ্গীত চর্চার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কম। কারণ অবিভাবকরা তার সন্তানদের সঙ্গীত থেকে দূরে রাখতে চায়। এই পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে চিলমারীর সর্বস্তরের মানুষকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এ সঙ্গীত শিক্ষক।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুকুনুজ্জামান শাহীন বলেন, শিল্পকলার বিষয়টি নিয়ে আমি ইউএনওর সঙ্গে কথা বলব এবং দ্রুত নতুন কমিটি করে শিল্পকলাকে পুনরায় সক্রিয় করা হবে। তিনি আরো বলেন, এবার সঙ্গীত সংশি¬ষ্ট লোকদের নতুন কমিটিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কুড়িগ্রাম,চিলমারী
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close