কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

  ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

রেলের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে গণকমিটির মানববন্ধন

রেলের টিকিটের দাম বৃদ্ধিকে অযৌক্তিক মনে করে কুড়িগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে মানববন্ধন করা হয়। ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

রেলের টিকিটের দাম বৃদ্ধিকে অযৌক্তিক মনে করে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন করেছে জেলার রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় কুড়িগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে এ মানববন্ধন করা হয়। এতে রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির আয়োজনে বক্তারা ভাড়া না বাড়ানো, রেলের অনিয়ম ও দূর্নীতি তুলে ধরেন।

এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে জানায়, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে ‘সেকশনাল রেয়াত’ বাতিল করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সব ধরণের যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আগামী ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে।

সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেন নম্বর ৭৯৭ শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫১০ ও ৯৭২ টাকা থেকে বাড়িয়ে যথাক্রমে ৬৪৫ ও ১ হাজার ২৩৭ টাকা করা হয়েছে।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি প্রভাষক আব্দুল কাদের। বক্তৃতায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাবেক সভাপতি কলামিস্ট নাহিদ হাসান বলেন, দরিদ্রতম জেলা হিসেবে কুড়িগ্রামবাসী রাজধানীর সঙ্গে দূরত্বের কারণে ভুগছে। মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষা ছিল শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের সঙ্গে যোগাযোগ ফ্রী করা। এই ভাড়া বৃদ্ধি মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে বেঈমানী বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আরিফ বলেন, ‘মালামাল পরিবহন ও গুদামের সঙ্গে রেল বিচ্ছিন্ন করে রেলকে লোকসানি খাতে পরিণত করা হয়েছে। ৫ হাজার টাকার বাতি ২৭ হাজার টাকায় কিনেছে রেল আর তার দায় চাপানো হচ্ছে জনগণের ওপর।’

রেলের যাত্রী শামীম হোসেন বলেন, ‘বিগত বছরে আয়-ব্যয়ের হিসাব, মালামাল ক্রয়ের তালিকা প্রকাশ করতে হবে।’ তারপর ভাড়া বৃদ্ধি করা হবে কিনা, সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক বলে দাবি করেন তিনি।

সভাপতির বক্তৃতায় আব্দুল কাদের বলেন, ‘রেলের কর্তৃপক্ষ ১৯ হাজার টাকার মাল ৩ লাখ টাকায় কিনেছে। পত্রিকায় খবর এসেছে, কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে রেলের ক্ষতি হয় ২০ হাজার কোটি টাকা। আর সেই দায় যাত্রীরা কেন বহন করবে?’ তিনি সারা দেশবাসীকে প্রতিবাদে শামীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও সামাজিক সংগঠন অংশগ্রহণ করে।

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কুড়িগ্রাম
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close