দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি

  ২০ এপ্রিল, ২০২৪

দেওয়ানগঞ্জে ঝালরচর-ডাংধরা ভাঙাচোরা সড়কে দুর্ভোগ

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে খানাখন্দে ভরা ঝালরচর-সানন্দবাড়ী-ডাংধরা সড়ক। ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ি-ডাংধরা সড়কের ঝালরচর থেকে ডাংধরা পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার খানাখন্দে ভরা ও অপ্রশস্ত। মাঝেমধ্যে কিছু অংশ সংস্কার করা হলেও সড়কটির অসংখ্য স্থানজুড়ে বর্তমানে খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, সড়কটি প্রয়োজনের তুলনায় অত্যধিক অপ্রশস্ত হওয়ার ফলে উত্তরাঞ্চলের চারটি ইউনিয়নসহ রৌমারী, রাজিবপুর উপজেলার কয়েক লাখ মানুষকে দৈনন্দিন যাতায়াতে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।

উপজেলা এলজিইডি, জেলা সড়ক ও জনপদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ি-ডাংধরা সড়কটি দুই ভাগে বিভক্ত। দেওয়ানগঞ্জ সদর থেকে তারাটিয়া বাজার পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার এলজিইডি এবং তারাটিয়া বাজার থেকে সানন্দবাড়ি হয়ে ডাংধরা পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধীন। তার মধ্যে এলজিইডির অর্থায়নে ওই সড়কের দেওয়ানগঞ্জ সদর থেকে ঝালরচর বাজার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে দশ কিলোমিটার সড়কের প্রশস্ততা বৃদ্ধিকরণসহ সংস্কার প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের পথে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলাটির অপ্রশস্ত, উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত। দেওয়ানগঞ্জ সদর থেকে উপজেলার উত্তরবর্তী ডাংধরা ইউনিয়নের দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার। ঝালরচর থেকে তারাটিয়া পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১০ কিলোমিটার এবং তারাটিয়া থেকে ডাংধরা পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়ক অপ্রশস্ত ও অধিকাংশ স্থান খানাখন্দে ভরা। তার মধ্যে তারাটিয়া থেকে ডাংধরা পর্যন্ত স্থান বিশেষে সংস্কার না হওয়ায় উত্তরাঞ্চলের চারটি ইউনিয়নসহ রাজিবপুর ও রৌমারী উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।

কাঠারবিল সাপমারী গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, সড়কটির ঝালরচর থেকে ডাংধরা পর্যন্ত অপ্রশস্ত ও খানাখন্দে ভরা। যানবাহনে চলাচল করা কষ্টসাধ্য। ফলে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ অঞ্চলবাসীর।

চুনিয়াপাড়া গ্রামের অটোবাইক চালক ইউসুফ আলী বলেন, ভাঙাচোরার কারণে উপজেলা শহর থেকে সানন্দবাড়িতে অটোবাইক নিয়ে যাওয়া কঠিন। এভাবে সময় দ্বিগুণ লাগে। বৃষ্টি হলে সড়কের খানাখন্দ ও গর্তে পানি জমে কাদা-জলে একাকার হয়ে যায়। একবার যাতায়াত করলে গাড়ি ধুয়েমুছে নিতে হয়। চকপাড়া গ্রামের মনিরুজ্জামান বলেন, সড়কটির অসংখ্য স্থানে খানাখন্দ ও ভাঙাচোরা। এ সড়কে চলাচল করতে যানবাহনের চালক ও যাত্রী উভয়েরই নাভিশ^াস ঝরছে। উত্তরাঞ্চলের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিজপণ্য সরবরাহে দুর্ভোগে পড়ছেন। যাতায়াতের উন্নয়ন বিমুখতার কারণে আশানুরূপ হচ্ছে না ওই অঞ্চলের শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন।

সানন্দবাড়ি লম্বাপাড়ার আবু হানিফ জানান, ওই সড়কটির অপ্রশস্ততা ও ভাঙাচোরার কারণে আন্তঃউপজেলা ও আন্তঃজেলা বাস সার্ভিস চালু হয়নি। ফলে উত্তরাঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষকে উপজেলা ও জেলা সদরে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ জানান, দেওয়ানগঞ্জ সদর থেকে ঝালরচর বাজার পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার সড়ক এলডিইডির আওতাধীন। এর মধ্যে দেওয়ানগঞ্জ সদর থেকে ঝালরচর পর্যন্ত সাড়ে ১০ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ ও সংস্কারের কাজ শেষের পথে। ঝালরচর থেকে তারাটিয়া বাজার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১০ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ ও সংস্কারের জন্যে ইতোমধ্যে ফ্লাড রিকন্সট্রাকশন ইমার্জেন্সি অ্যাসিটেন্টস প্রকল্প (এফআরইএপি) পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে সড়ক প্রশস্ত ও সংস্কার করা হবে।

পিডিএস/জেডকে

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জামালপুর,দেওয়ানগঞ্জ,ভাঙাচোরা,সড়ক,দুর্ভোগ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close