লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে লালমনিরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান ও চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক এমপি সফুরা বেগম রুমীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন এক প্রার্থী। গত শুক্রবার রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন অ্যাডভোকেট আশরাফ হোসেন বাদল (চশমা) নামে এক চেয়ারম্যান প্রার্থী।

অভিযোগে বলা হয়, আগামী ৩ এপ্রিল লালমনিরহাট জেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমী (কাপ পিরিচ) নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদ চত্বরে টিনশেড হলরুমে লালমনিরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানকে নিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন এবং ইফতারে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন রুমী। শুধু তাই নয়, শুক্রবার আবার আদিতমারী উপজেলা পরিষদে ইফতারের নামে ভোটারদের উপস্থিত করে ভোট প্রার্থনার আয়োজন করেছেন সাবেক এই নারী এমপি।

অভিযোগের বিষয়ে অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমী বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এ নিয়ে কোনো মন্তব্যও করতে চাই না। যিনি অভিযোগ করেছেন, তিনিই আমাদের এমপি মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলবেন।

রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা লুৎফুল কবীর সরকার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে কথা বলতে সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানকে একাধিকবার মোবাইলে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

জানা যায়, লালমনিরহাট জেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৬২৪ জন। এ নির্বাচন আগামী ৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান পদত্যাগ করে লালমনিরহাট-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার কারণে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল ছাড়া আরও ৪ জন প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ হোসেন বাদল, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল হক ভোলা পাটোয়ারী, ব্যবসায়ী মমতাজ আলী শান্ত ও সাবেক এমপি সফুরা বেগম রুমী।

পিডিএস/জেডকে