গাজীপুর প্রতিনিধি

  ২১ মার্চ, ২০২৪

চাকরির প্রলোভনে আটকে মুক্তিপণ দাবি, উদ্ধার ২৭

আটক ১৪ প্রতারক

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সিকিউরিটির চাকরির অনলাইনে প্রলোভন দেখিয়ে গাজীপুর মহানগরের গাছা এলাকায় সিকিউরিটি এজেন্সির অফিসে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করে মুক্তিপণ দাবির সঙ্গে জড়িত ১৪ প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এ সময় ২৭ জন ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব-১-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) মো. মাহফুজুর রহমান বুধবার (২০ মার্চ) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

আটকরা হলেন-নীলফামারীর জলঢাকা থানা এলাকার মো. আস্তাকুল আমিন আনাম (৩০), নীলফামারী সদরের মো. তৌফিক (২৪), রাজশাহীর বাঘমারা থানা এলাকার মো. ইমরান হোসেন (১৯), নাটোরের সিংড়া থানা এলাকার মো. জুনায়েদ (২১), ময়মনসিংহ ভালুকা থানা এলাকার মো. রনি আহমেদ (২১) ও সালাউদ্দিন সরকার (২০), পাবনার ঈশ্বরদী থানা এলাকার মো. জিসান হোসেন (২১), কিশোরগঞ্জ তাড়াইল থানা মো. রায়হান (১৮), চাপাইনবাবগঞ্জের মো. আতিক হাসান (১৯), ময়মনসিংহ সদরের আজিজুল হাকিম (২৩), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্চারামপুর থানা এলাকার সম্পা আক্তার (২৪), শেরপুর সদরের মোছা. বিউটি খাতুন (২১), যশোরের বর্ষা খাতুন (১৯), বরিশাল সদরের তাহসিন আক্তার মীম (২০)।

র‌্যাব কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান জানান, গত ১৯ মার্চ বেস্ট এ্যাকশন সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের অনলাইনে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখে ভিকটিম সাকিব হোসেন ও ফারজানা আক্তার পাখি উভয়েই চাকরির প্রত্যাশায় ওই কোম্পানিতে যায়। পরে কোম্পানির লোকেজন তাদেরকে আটক করে শারিরীকভাবে নির্যাতন করে এবং ভিকটিমের পরিবারের নিকট ফোন দিয়ে মুক্তিপন বাবদ ৫ লাখ টাকা দাবি করে। এ ব্যাপারে ওই দিনই ভিকটিমের বাবা র‌্যাব-১ গাজীপুর ক্যাম্পে আইনি সহায়তা কামনা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০ মার্চ র‌্যাব-১ একটি আভিযানিক দল গাছা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ওই ১৪ সদস্যকে আটক এবং ভিকটিম সাকিব ও ফারজানা ছাড়াও আরও ২৫ জন ভিকটিমকে উদ্ধার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন. আটকরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। তাদের সদস্য ২০ জন। তারা প্রায় ৩ মাস যাবৎ এই প্রতারণা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। চক্রটি বিভিন্ন সময়ে বেস্ট এ্যাকশন সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠান এবং তাদের ব্যবহৃত মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে ভুয়া চাকরির বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়। চক্রটির মূলহোতা আস্তাকুল আমিন আনাম, তৌফিক, ইমরান হোসেন, জুনায়েদ ও রনি আহমেদ। অন্যান্য সদস্যরা বিভিন্ন এলাকার চাকরি প্রত্যাশীদের অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে এই চক্রের মূলহোতাদের নিকট নিয়ে আসত। পরে তারা চাকরি প্রত্যাশীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে এমনকি আটক করে রেখে তাদের পরিবারের নিকট থেকে বিপুল অংকের নগদ অর্থ হাতিয়ে নিত। তারা প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি দেওয়ার নামে অসংখ্য ব্যক্তির নিকট হতে প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তা।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
প্রতারক,আটক,মুক্তিপণ,চাকরির প্রলোভন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close