কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

  ২০ মার্চ, ২০২৪

পটুয়াখালীর কলাপাড়া

১২ পরিবারের নলকূপটি নষ্ট, দূরে গিয়ে আনতে হয় পানি

পটুয়াখালীর কলাপাড়া খাতরাভাঙা বিল এলাকায় বেহাল নলকূপটি।-প্রতিদিনের সংবাদ

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার খাতরাভাঙা বিল এলাকায় ১২টি পরিবারের বসবাস। তাদের জন্য রয়েছে একটি মাত্র নলকূপ, যা এক বছর ধরে নষ্ট। বিল শুকিয়ে যাওয়ায় প্রায় এক কিলোমিটার দূরের আরেক নলকূপ থেকে পানি আনতে হয় তাদের। এতে অনেক কষ্ট পোহাতে হচ্ছে অভিযোগ তাদের। শিগ্রীই তাদের জন্য নলকূপে ব্যাবস্থা করবেন আশ্বাস ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের।

ভুক্তোভোগীরা স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিলেও ওই এলাকায় আগে নামমাত্র পানি উঠলেও লবনাক্ত হওয়ায় পানি খেতে পাড়ত না তারা। পাড় বাধানো নলকূপটির চারিদিকে জমেছে নোংরা, দূষিত পানি। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ওই নলকূপের দূষিত জল খেলেও এখন একেবারেই বিকল হয়ে রয়েছে। বাসন ধোয়া, কাপড় কাচা, গোসল ইত্যাদি দৈনন্দিন প্রয়োজনেও বাসিন্দাদের ভরসা খালের দূষিত পানি। কিন্তু চৈত্র মাসে বিল শুকিয়ে যাওয়ায় ১ কিলোমিটার দূর থেকে নিয়ে নলকূপ থেকে পানি আনতে হচ্ছে তাদের। নলকূপটি নষ্ট হয়ে গেলেও সরেজমিনে দেখতে আসেনি কোনো জনপ্রতিনিধি। ওই এলাকায় রাস্তা না থাকায় ১২টি পরিবার বিছিন্ন। ঠিক মত মিলছেনা তাদের সরকারি সহায়তাও।

ওই এলাকার বাসিন্দা আবদুল খালেক জানান, ৫ বছর আগে সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আবদুস সালাম শিকদার আমাদের ১২টি পরিবারের জন্য একটা গভীর নলকূপের ব্যবস্তা করে দেন। কিন্তু শুরু থেকেই টিউবলে লবন পানি উঠলে সমস্যার সমাধান না পেয়ে এই লবন পানি পান করতাম। কিন্তু এই বছর দুই ধরে নলকূপ থেকে পানি না উঠায় প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে পানি আনতে হচ্ছে।

কলাপাড়া উপজেলা মেডিকেল কর্মকর্তা জেএইস খান লেলিন বলেন, গরমে এমনিতেই ডায়রিয়ার রোগির সংখ্যা বেশি থাকে। এরমধ্যে বিশুদ্ধ পানি না পাওয়া গেলে ডায়রিয়ার সংখ্যা আরও বাড়বে।

ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হেদায়েত উল্লাহ বলেন, আমি আপনার মাধ্যমে এ সমস্যা শুনলাম। মানুষ রোজা রেখে দূর থেকে পানি আনছে এটা খুবই দুঃখজনক। শিগ্রীই তাদের জন্য নলকূপে ব্যাবস্থা করব।

পিডিএস/এস

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পটুয়াখালীর কলাপাড়া,নলকূপের পানি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close