আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

  ২০ মার্চ, ২০২৪

বগুড়ার আদমদীঘি

হস্তান্তরের আগেই হাটের ভবনে ফাটল ও জুয়ার আসর

বগুড়ার আদমদীঘিতে বিহিগ্রামে গ্রামীণ বাজার ভবন।-প্রতিদিনের সংবাদ

বগুড়ার আদমদীঘিতে দুইতলা গ্রামীণ বাজার ভবন নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় এক বছরের বেশি হয়েছে। উপজেলার বিহিগ্রামে এ বাজারের দোকান ঘরগুলো বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে হস্তান্তরের আগেই ভবনে ফাটল ধরেছে। পড়ে থাকা ভবনগুলোয় এখন জুয়া ও মাদক সেবীদের দখলে। নিচ তলায় দেখা গেছে গরু-ছাগলের অবাধ বিচরণ।

সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর উপজেলার চাঁপাপুর ইউপির প্রত্যন্ত বিহিগ্রামে ২ কোটি ৬৪ লাখ ১৯ হাজার টাকা ব্যয়ে আধুনিক মানের দুই তলা গ্রামীণ বাজার ভবনের কাজ শুরু করে। ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয় গত ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের ১৬ তারিখে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে বিহিগ্রামের এই হাটের দোকান বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। তবে বিজ্ঞপ্তির এক বছর পার হলেও দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়নি ব্যবসায়ীদের। এদিকে নির্মাণের দেড় বছরের মধ্যেই ভবনে দেখা দিয়েছে ফাটল। স্থানীয়রা বলছেন নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার কারণে হাটের ভবনে ফাটলের দেখা দিয়েছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাজের মান নিয়ে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পরিতাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় ভবনের দেওয়ালের রং উঠে গেছে, ফাটল ধরেছে বিভিন্ন জায়গায়। ভবনের নিচ তলার এক পাশে বসে মাদকসেবন করছে কয়েকজন, অন্য পাশে দেদারছে চলছে জুয়া। অন্যদিকে গরু-ছাগলের বিচরণ। ভবনের বিদুৎ সরবারহের জন্য সোলারের ব্যাটারিগুলো পরিতাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় বেশি ভাগ নষ্ট হয়ে গেছে।

বিহিগ্রাম মধ্যপাড়া এলাকার আলিফ জানান, হাট নির্মাণের দীর্ঘ দিন হলেও দোকান ঘরগুলো ব্যবসায়ীদের বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না। আর ভবনের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে, ভেঙে যাচ্ছে। বিষয়টি প্রসাশনকে দেখার দাবি জানান তিনি।

একই এলাকার রিমন জানান, হাটটি গরু-ছাগল, মাদকসেবীদের আবাসস্থলে পরিনত হয়েছে। আমাদের স্থানীয়দের দাবি দ্রুত হাট ভবনটি উদ্বোধন করে ব্যবসায়ীদের দোকান ঘরগুলো বরাদ্দ দেওয়া হোক।

আদমদীঘি উপজেলা প্রকৌশলী রিপন কুমার সাহা বলেন, দোকান ঘর বরাদ্দের জন্য ইউএনও স্যার জেলা প্রসাশক কার্যালয়ে তালিকা পাঠিয়েছেন। আমরা দ্রুত সম্ভব দোকান বরাদ্দ দেওয়ার চেষ্টা করবো। ভবনে ফাটল ধরে বা রং উঠে যায়, তাহলে তা মেরামত করে দেওয়া হবে।

আদমদীঘি উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমানা আফরোজ এ বিষয়ে বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই হাটের দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে।

হাট ভবনে জুয়া ও মাদকসেবীদের বিষয়ে জানতে চাইলে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রাজেশ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে। আমরা সম্প্রতি ওই এলাকা থেকে বেশ কয়েকজন মাদকসেবীকে গ্রেপ্তার করেছি। হাট ভবনে কেউ জুয়া বা মাদকসেবন করতে পারবে না।

পিডিএস/এস

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
গ্রামীণ বাজার ভবন,বগুড়ার আদমদীঘি,বিহিগ্রাম
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close