সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

  ০১ মার্চ, ২০২৪

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি

সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ অভিযোগ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ধুকুড়িয়া বেড়া ইউনিয়ন পরিষদ অফিস থেকে মৌবুপুর খেয়াঘাট ভায়া তালুকদার মিটিন হাট পর্যন্ত সংযোগ সড়ক।-প্রতিদিনের সংবাদ

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে একটি সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ বন্ধ থাকায় চলাচলে ভোগান্তিতে পরেছে এলাকাবাসী। এটি উপজেলার ধুকুড়িয়া বেড়া ইউনিয়ন পরিষদ অফিস থেকে মৌবুপুর খেয়াঘাট ভায়া তালুকদার মিটিন হাট পর্যন্ত সংযোগ সড়ক। রাজশাহী বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর অভিযোগ ঠিকাদার নির্মাণ কাজের জন্য মাটি সড়কের পাশ থেকে কাটায় তা ভরাট করতে বলা হয়েছিল কিন্তু তা করেনি সে। ঠিকাদারের অভিযোগ তিনি কথা অনুযায়ি কাজ করেছেন পরবর্তি কাজের অনুমতি দিচ্ছেন না কর্তৃপক্ষ।

সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থ বছরে সিরাজগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক ৭৪০ মিটার ওই সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এর নির্মাণের জন্য ব্যয় ধরা হয় এক কোটি ২৫ লাখ টাকা। কাজটি ২০২২ সালের মধ্যে শেষ হবার কথা। ঠিকাদার রাস্তা নির্মাণের মাটির কাজ করার সময় পাশ থেকে মাটি খনন করেন। পরে রাস্তার পাশের ওই গর্ত দুর থেকে মাটি এনে ভরাট করার জন্য বলে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। এবং ভরাট হওয়া গর্তের ও রাস্তার মাটি স্থায়ী করনের জন্য ছয়মাস সময় দিয়ে ঠিকাদারকে পরবর্তিতে কাজ করার জন্য বলা হয়। ঠিকাদার সেই মোতাবেক দুর থেকে মাটি এনে গর্ত ভরাট করে দেন। নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তিতে কাজ শুরু করতে রাজশাহী বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর অনুমতির (প্রত্যায়ন) প্রয়োজন। কিন্তু ৬ মাস পার হলেও ঠিকাদার কাজ শুরু অনুমতি পাননি জানান ঠিকাদার।

ঠিকাদার নীতিশ চন্দ্র ভদ্র জানান, তিনি কর্তৃপক্ষের ও কাজের সকল নিয়ম মেনে কাজ করছি। প্রায় ৫০ লাখ টাকার সিমেন্টের খুটি ও সিসি ব্লক তৈরি করে রেখেছি। কিন্তু প্রায় এক বছর পার হলেও এলজিইডির রাজশাহী বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জুলফিকার আলী কাজ শুরুর অনুমতি পত্র (প্রত্যায়ন) দিচ্ছেন না। ব্যাংক ঋণ নিয়ে কাজ করছি। কাজ বন্ধ থাকলেও ব্যাংক ইন্টারেষ্ট বন্ধ থাকছে না।

চর মিটুয়ানী গ্রামের আবু তালেব মাষ্টার বলেন, এখন পুরো রাস্তা দ্রুত করা দরকার তা হলে ভ্যান রিক্সা সহ অন্যান্য যানবাহন সহজে চলাচল করতে পারবে না।

ধুকুরিয়া বেড়া ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, জানতে পেরেছি রাজশাহী বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কাজ শুরুর অনুমতি পত্র না দেওয়ায় ঠিকাদার কাজ শুরু করতে পারছেন না। রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানাই।

রাজশাহী বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কে এম জুলফিকার আলী জানান, সড়কের কাজ বন্ধ থাকার জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্ট অফিসের কিছু ব্যক্তি দায়ী। সড়কের পাশ থেকে মাটি না কাটতে নিষেধ করা হয়েছিলো। কিন্তু ঠিকাদার সড়কের পাশ থেকে মাটি কাটায় রাস্তার অবস্থা বেহাল হয়ে পরে। এ ঠিকাদারকে ক্ষতিগ্রস্ত অংশে মাটি দিয়ে ভরাট করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি তা না করে ক্ষতিগ্রস্থ অংশ ভরাট করা হয়েছে বলে লিখিত ভাবে জানান। পরে তদন্ত করে এর সত্যতা না পাওয়ায় সড়কের নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে।

পিডিএস/এস

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি,সংযোগ সড়ক
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close