ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

  ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ফটিকছড়িতে অস্ট্রেলিয়ান কুল চাষে সাফল্য তৌহিদুলের 

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

অস্ট্রেলিয়ান বলসুন্দরী কুল চাষ করে সফলতা পেয়েছেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার শান্তিরহাট এলাকার কৃষক মো. তৌহিদুল আলম। তার উচ্চফলনশীল এই বাগান দেখে আগ্রহী হচ্ছেন উপজেলার অনেক কৃষক।

জানা গেছে, বলসুন্দরী কুল চাষ করে তিনি এলাকায় ব্যাপক সাঁড়া ফেলেছেন। এ বছর তার কুল বিক্রি বর্তমানে মাঝামাঝি পর্যায়ে। প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার টাকার কুল বিক্রি করছেন। এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার কুল বিক্রি করেছেন। প্রতিটি গাছে বর্তমানে সুমিষ্ট ফল শোভা পাচ্ছে। ফলের ধরন ও বাজারমূল্য ভালো পেয়ে তিনি বেজায় খুশি।

সরেজমিনে তৌহিদুল আলমের বাগানে দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ান জাতের এসব গাছের প্রতিটিতে থোকায় থোকায় কুল ঝুলছে। সুস্বাদু বাহারি রঙের কুল তিনি গাছ থেকে পেড়েই বিক্রি করছেন। পোকা ও পাখির আক্রমণ থেকে রক্ষায় বাগানের চারপাশে মশারি জালের বেড়া দিয়েছেন। তৌহিদুল জানান, ২০১৫ সালে উচ্চমূল্যের ফসল ও কৃষিপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ান কুল ছাড়াও উন্নত জাতের কয়েক ধরনের কুল চাষ শুরু করেন তিনি। এজন্য তাকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার তখনকার কৃষি কর্মকর্তা মো. আল মামুন সিকদার বিভিন্ন সময় পরামর্শ দিয়ে তাকে সহযোগীতা করেন। প্রথমে চার লাখ টাকা খরচ করে চার বিঘা জমিতে কুল চাষ শুরু করেন তিনি। তার বাগানে বর্তমানে পাঁচজন নিয়মিত শ্রমিক কাজ করেন। বাগানে দূরদূরান্ত থেকে ক্রেতারা আসছেন বাগান থেকে কুল ক্রয় করতে। প্রতি কেজি কুল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, দেশি কুলের চেয়ে এ কুল কিছুটা বড়। ব্যতিক্রমী অস্ট্রেলিয়ান বলসুন্দরী চাষ করে সাঁড়া ফেলেছেন তৌহিদ। এর মাধ্যমে এলাকাসহ নানা প্রান্তের যুবকেরা তার মতো আত্মনির্ভরশীল হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।

পিডিএস/এস

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
অস্ট্রেলিয়ান বলসুন্দরী,চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close