হরিণাকুণ্ডু (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

  ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আগেই বরখাস্ত পরিবার কল্যাণ সহকারী

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসার জন্য চেয়েছিলেন ছুটি। কিন্তু সেটির পরিবর্তে পেয়েছেন বরখাস্তের আদেশ। এমন দাবি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুর জেসমিন আরা খাতুন নামের এক পরিবার কল্যাণ সহকারীর। তার দাবি, মিথ্যা অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন, বিনা ছুটিতে ২১ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন ওই পরিবার কল্যাণ সহকারী। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসদাচরণ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল তথ্য উপস্থাপনের অভিযোগও রয়েছে। তিনি উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিটে কর্মরত।

এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির প্রধান ও কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) আব্দুল বারী গত বৃহস্পতিবার প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, আর্থিক লেনদেনের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ছুটি দেওয়ার মালিক ডিপার্টমেন্টের। বিষয়টা নিয়ে তদন্ত চলছে।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার খুলনা বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের পরিচালক, যুগ্ম সচিব সৈয়দ রবিউল আলম স্বাক্ষরিত এক দাপ্তরিক আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তের আদেশে উল্লেখ করা হয়, পরিবার কল্যাণ সহকারী জেসমিন আরা খাতুন দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপিস্থিত, ঊর্র্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসদাচরণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল তথ্য উপস্থাপন, বিনা অনুমতিতে ভারতে গমন ও টেলিভিশন চ্যানেলে ক্যান্সার আক্রান্তের ভুয়া তথ্য উপস্থাপন করে বিনা ছুটিতে ২১ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। এসব বিষয়ে তার বিরুদ্ধে দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেসমিন আরা খাতুন দাবি করেন, তিনি ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত। ঢাকায় চিকিৎসকরা তাকে ৮টি কেমোথেরাপি নিতে বলেছেন। গতবছরের ২৪ ডিসেম্বর উপজেলা কর্মকর্তার কাছে পাঁচ দিনের নৈমিত্তিক ছুটির জন্য আবেদন করেছিলেন। তবে তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। পরে ছুটির দাবিতে জেলা কর্মকর্তার কাছেও আবেদন করে ছুটি মেলেনি। এখন উল্টো মিথ্যা অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এদিকে এফপিআই কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রশিক্ষণে ছিলাম। তখন পরিবার কল্যাণ সহকারীর জেসমিন আরা খাতুন মোবাইলে ছুটির সুপারিশ চেয়েছিলেন, কিন্তু পরে আবেদন নিয়ে তিনি আর আসেননি।

হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাছরিন (ভারপ্রাপ্ত) জানান, এসব ঘটনায় ৩টি তদন্ত কমিটি হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোনো তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আসেনি। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আসার আগেই কেন তাকে বরখাস্থ করা হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা খুলনা বিভাগীয় পরিচালক মহোদয়ের গত ৬ ফেব্রুয়ারি এক স্বাক্ষরিত আদেশের কপি পাওয়ার পর পরই আমরা সেটা তাকে অনলাইন পাঠিয়ে পরে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রেজিস্ট্রি করে পাঠিয়ে দিয়েছি। যেহেতু কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছে এতে আমার কোনো হাত নেই।

পিডিএস/জেডকে

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ঝিনাইদহ,হরিণাকুণ্ডু,তদন্ত কমিটি,প্রতিবেদন,বরখাস্ত
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close