দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

  ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পটুয়াখালীর দশমিনা

দপ্তরিকে চাকরি, সহকারী অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা

ছবি: প্রতীকী

পটুয়াখালীর দশমিনায় মাদরাসার এক সহকারী অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দপ্তরিকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে প্রতারণার মামলা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ প্রতারণার মামলা করা হয়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ চরশাহজালাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা দাবি করেন বহরমপুর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার সহকারী অধ্যক্ষ মো. হানিফ। মামলার বাদী মো. ছালাম। ওই বিদ্যালয়ের রাজযোগালি কাজ করার সময় ছালামের সঙ্গে চরশাহজালাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাতা দাবিদার মো. হানিফের সুসম্পর্ক তৈরি হয়। ছালাম মৃধার দ্বিতীয় ছেলে কে ওই বিদ্যালয়ে দপ্তরি পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে উপজেলার বহরমপুর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার সহকারী অধ্যক্ষ মো. হানিফ তিন লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করে। দপ্তরি চাকরির জন্য ২০২১ সালে ছালাম মৃধা দুই লাখ টাকা দেন মো. হানিফকে। সেই কারণে রবিউল মৃধা বাদীর ছেলে ২০২১ সল থেকে নিয়মিত বিদ্যালয়ে কাজ করে আসছেন। গত রবিবার সকালে জনৈক আরিফকে দিয়ে দপ্তরির কাজ করালে রবিউল মৃধাকে বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে যেতে বলেন মো. হানিফ।

এ নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা হানিফের বিরুদ্ধে মিছিল করে। দপ্তরি পদে চাকরি দেওয়ার নামে রবিউলের বাবা ছালাম মৃধা বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার দশমিনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতারণার মাামলা করেন। আদলতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে উপজেলা কোর্ট পুলিশ পরিদর্শককে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।

মামলার বাদী ছালাম মৃধা বলেন, আমি সহজ সরল। ওই বিদ্যালয়ে কাজ করেছি তাই হানিফের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হয়। আমার ছেলেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে সাড়ে তিন লাখ টাকা দাবি করে। আমি প্রাথমিকভাবে দুই লাখ টাকা দিই। যোগদান দেওয়ার পর বাকি দেড় লাখ টাকা দেওয়ার কথা। ২০২১ সাল থেকে আমাকে আজকাল বলে ঘোরায়। আমার কাছে পুনরায় টাকা দাবি করায় যোগদান চাইলে অন্য একটি ছেলেকে দিয়ে কাজ করায়।

পিডিএস/জেডকে

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পটুয়াখালী,দশমিনা,মাদরাসা,অধ্যক্ষ,প্রতারণা,মামলা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close