চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

  ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে একটি বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারসহ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়টির নাম বাকগ্রাম কাজী আহম্মদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা সহ স্থানীয় বাসিন্দারা অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

জানা গেছে, ২০১৯ সালে উপজেলার বাকগ্রাম কাজী আহম্মদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবনটির নির্মাণকাজ পায় কুমিল্লা আদর্শ সদরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আরশাদ অ্যান্ড সন্স। ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ে সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ করছে আলকরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক হেলালের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

বিদ্যালয়ের এসএসসি শিক্ষার্থী আবু আখের ও মায়মুনা আকতার বলেন, পাঁচ বছর ধরে ভবনটির নির্মাণ কাজ চলছে। সঠিক সময় কাজ শেষ না হওয়ায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরুল ইসলাম চৌধুরী ও জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নতুন ভবনটির নির্মাণ কাজ করছে। নির্মাণ সামগ্রী ও কাজের মানের বিষয়ে বিভিন্ন সময় অভিযোগ করায় তিনি শিক্ষকদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।’

প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান জানান, তিনি এখানে নতুন এসেছেন। আসার পর থেকেই দেখছেন ধীরগতিতে চলছে নতুন ভবনের নির্মাণের কাজ। ভবন নির্মাণে বিলম্ব হওয়ায় স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়াসহ নানা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।

আলকরা ইউপি চেয়ারম্যান মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্কুল ভবনের নির্মাণ কাজে সিলেকশান বালুর বালু ভিটি বালু দিয়ে ছাদ ঢালাই দিয়েছে ঠিকাদার। ঢালাইতে সঠিক পরিমাণে সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়নি। দুই-তিন নম্বর ইট দিয়ে দেয়ালের গাঁথুনি নির্মাণ করেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভবন পরিদর্শন করে দেখেছেন, কাজের মান অত্যন্ত খারাপ। তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করবে বলে প্রত্যাশা করি।

ঠিকাদার গোলাম ফারুক হেলাল জানার, ২০১৮ সালের কাজটি কোভিড-১৯ এর কারণে কিছুদিন বন্ধ ছিলো। পরে আবার কাজ শুরু হয়। নির্মাণ সামগ্রীর অতিরিক্ত মূলবৃদ্ধির ফলে কাজের মান ঠিক রাখা বেশ মুশকিল হচ্ছে। তারপরও গুনগত মানের বিষয়ে তিল পরিমাণ ছাড় দেয়নি। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজের মান যাচাই করেছে বহুবার। অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে কাজ চলে।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, কুমিল্লা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলী ইমাম বলেন, কোভিড এর কারণে কাজে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ করা হয়েছে। গুণগত মান ঠিক রেখে দ্রুত কাজটি শেষ করার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

পিডিএস/এস

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম,বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে অনিয়মের
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close