ঝালকাঠি প্রতিনিধি

  ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিদেশে রপ্তানির সম্ভাবনা ঝালকাঠির শীতলপাটি 

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

ঝালকাঠির ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটি দিয়ে তৈরি হচ্ছে বাহারি রকমের জিনিস পত্র। জেলার নলছিটি উপজেলার কামদেবপুর গ্রামের ৬০-৭০ পরিবারের প্রায় তিনশত নারী ও পুরুষ শীতলপাটি তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জরিত। নানা প্রতিকুলতা থাকার পরেও শত বছরের এ পেশা টিকিয়ে রাখছে তারা। তবে শীতলপাটিকে জিআই পণ্য হিসেবে ঘোষনা করে এটি বাজারজাত করতে কাজ করছে এসএমই ফাউন্ডেশন।

জানা গেছে, ঝালকাঠি জেলা শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত কামদেবপুর গ্রাম। এখানের জমিতে চাষ হওয়া ‘পাটিবেত’ বা মুর্তা নামক ঘাষ উদ্ভিত পাটি তৈরির প্রধান কাঁচামাল। এ থেকে বিশেষ পদ্ধতিতে পাটি বোনা হয়। পাটি তৈরির সঙ্গে জরিতদের পাটিয়াল বা পাটিকর বলা হয়। আকার ভেদে একটি পাটি বুনতে একজনের ৫-৬ দিন লাগে। মজুরি পান ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা। এক একটি পাটি বিক্রি হয় ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। এদিকে এই উৎপাদিত পাটি ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, নরসিন্দিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে প্লাস্টিকের পাটি বাজারে আসায় হাতে বোনা এই পাটির কদর কমেছে। এতে পাটিকররা তাদের ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে পাটি দিয়ে শো-পিস, কলমদানি, ব্যাগ, টিস্যু বক্স সহ বাহারি রকমের জিনিসপত্র তৈরি করে বিক্রি করছেন। তবে সম্ভাবনাময় এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে বর্তমানে কাজ করছে এসএমই ফাউন্ডেশন। তারা পাটিকরদের সহজশর্তে ঋন দিচ্ছে, পাশাপাশি এই পন্যের বহুমুখিকরণ এবং বাজারজাত করনেও কাজ করছে।

এসএমই ফাউন্ডেশন এর উপব্যবস্থাপক অসীম কুমার হালদার জানান, এসএমই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পণ্যের বহুমুখী করণের জন্য এখানকার পাটিকরদের প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা এই পণ্যগুলো বিদেশেও রপ্তানি করতে পারে। ফাউন্ডেশন উপব্যবস্থাপক অসীম কুমার হালদার বলেন, ব্রান্ডিং পন্য হিসেবে শীতল পাটির বিষয়ে জেলা প্রশাসন সচেতন রয়েছে। প্রায় তিন শত পরিবার এর সয্গে জরিত।

ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম জানান, পাটি শিল্প থেকে উৎপাদিত বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্র বিদেশে রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে। আর এটি করা গেলে এখানকার পাটিকরদের ভাগ্যের চাকা ঘুরবে। সরকার পাটিরদের উন্নয়নে কাজ করবে বলে প্রত্যাশা সবার।

পিডিএস/এস

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ঝালকাঠি,শীতলপাটি কারিগর
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close