দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
জমি নিয়ে বিরোধে হত্যা, দাবি পরিবারের
দশমিনায় শিশু মরিয়মের মৃত্যু নিয়ে রহস্য
পটুয়াখালীর দশমিনায় বেতাগীসানকিপুর ইউনিয়নের রামবলভ গ্রামের ৮ বছরের এক শিশুর মৃত্যু নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে বাড়ির পূর্বপাশের পরিত্যক্ত ভিটা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার শিশু রামবলভ অগ্রণী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী এবং রামবলভ গ্রামের মকবুল মৃধার ছোট মেয়ে মরিয়ম।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সন্ধ্যার আগে মরিয়ম তার ফুফুর ঘরে বোন মরিয়মের সঙ্গে মোবাইলে কার্টুন দেখছিল। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় মরিয়ম তাদের ঘরে চলে যায়। পরক্ষণে মরিয়মের মা তার দেবরের ঘরে তাকে খুঁজতে এলে সে চলে গেছে বলে জানান। তারপর মরিয়মের মাসহ পরিবারের লোকজন তাকে পুকুর, রাস্তা, দোকানসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেন। না পেয়ে বাড়ির পূর্বপাশে ভিটায় খুঁজতে গিয়ে মরিয়মের রক্তাক্ত মরদেহ দেখে চিৎকার করে তার মা-চাচারা। লোকজন এসে মরিয়মকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে দশমিনা থানায় জানালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
মরিয়মের মা রিনা বেগম বলেন, সন্ধ্যার দিকে হারুন মৃধার ছেলে, আবুল মৃধার ছেলে, শাহজাহান মৃধার ছেলে ও জাকির মৃধার ছেলেকে আমার ঘরের সামনে ঘুরতে দেখি। জমিজমার বিরোধের কারণে ওই ছেলেরা আমার মেয়েকে সন্ধ্যায় জোরকরে বাড়ির পূর্বপাশের ভিটায় নিয়ে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।
মরিয়মের বাবা মকবুল মৃধা বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধে করে আমাকে রাজ্জাক, হারুন, বারেক, আবুল, শাহজাহান, জাকির মৃধা বহুবার মারধর করেছে। কয়েকদিন আগে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ওরাই আমার মেয়েকে আজ ভিটায় এনে হত্যা করেছে।
বেতাগিসানকিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ঝন্টু বলেন, সত্য উদঘাটনে তদন্ত সহকারে এ হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, প্রাথমিকভাবে শিশু মরিয়মের মাথায় কোপ ও গলায় ফাঁস দেওয়ার চিহ্ন দেখা গেছে। পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
পিডিএস/জেডকে