নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১০ মার্চ, ২০২৪

জালিয়াতির ব্যাখ্যা দিতে পারেননি আয়োজকরা

ডোম-ইনো নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

ল্যান্ড ওনারের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করে অবকাঠামোগত উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) কর্তৃক স্বর্ণপদক লাভ করা রিয়েল এস্টেট ও ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান ‘ডোম-ইনো’র বিরুদ্ধে ‘অপকর্ম, প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির’ অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ডোম-ইনোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়া বেশ কয়েকজন ল্যান্ড ওনার এবং এ প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরিচ্যুত কয়েকজন কর্মকর্তা। সংবাদ সম্মেলনে ডোম-ইনোর বিরুদ্ধে আনীত ‘অপকর্ম, প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির’ অভিযোগের তেমন কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি আয়োজকরা। ভিক্টিম ল্যান্ড ওনারের নামে অর্ধশত ল্যান্ড ওনার নিয়ে গঠিত প্ল্যাটফরমের নামও বলতে পারেননি তারা।

গতকাল শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে অর্ধশত ল্যান্ড ওনারের প্ল্যাটফরমের নামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন আদনান সোবহান। আর সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেন হুমায়ূন হাসান। সংবাদ সম্মেলনে হেলাল উদ্দিন আহমেদ, সিহাব উদ্দিন আহমেদ, এনায়েতুল হক, ফরিদা ইয়াসমীন উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে আদনান সোবহান, হুমায়ূন হাসান ছাড়াও বক্তব্য দেন অ্যাডভোকেট রুমানা আহমেদ।

লিখিত বক্তব্যে আদনান সোবহান অভিযোগ করেন, রিয়েল এস্টেট ও ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান ‘ডোম-ইনো দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে ধীরগতিতে ভবনের কাজ করছে। এতে করে তারা অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন। তাদের থাকার স্থানও নেই বলে অভিযোগ করেন। আয়োজকরা রাজধানীতে নির্মাণাধীন ২২টি ভবনের নাম উল্লেখ করে, তার নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। ‘ডোম-ইনোর বিরুদ্ধে ১৩৬টি মামলা (আয়োজকদের অভিযোগ অনুযায়ী) বিচারাধীন থাকা অবস্থায় হঠাৎ কেন সংবাদ সম্মেলন করে সরকারের কাছে বিচার প্রার্থনা, তবে কি দেশের প্রচালিত আইন ও বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা নেই’ একজন গণমাধ্যম কর্মীর এমন প্রশ্নের জবাবে হুমায়ূন হাসান বলেন, ‘আমরা দু-পথেই হাঁটতে চাই।’

‘ডোম-ইনোর কাছ থেকে ল্যান্ড ওনার হিসেবে জমি অধিগ্রহণের সময় সাইনিং মানি হিসেবে বড় অঙ্কে টাকা গ্রহণ এবং কয়েক বছরে ভবন দৃশ্যমান হওয়ার পর আপনারা (ল্যান্ড ওনার) সাইনিং মানি বাড়িয়ে দেওয়াসহ অযৌক্তিক দাবি তুলে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। কেউবা আবার আদালতের স্মরণাপন্ন হয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন উন্নয়নকাজ।’ এমন প্রশ্নের জবাবে হুমায়ূন হাসান বলেন, ‘আমরা বন্ধ করে দিইনি, তারাই বন্ধ করে রেখেছেন। কোথাও কোথাও ধীরেগতিতে কাজ করছেন।’ কোনো রিয়েল এস্টেট ও ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান যদি চুক্তি ভঙ্গ করে, তাহলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলে অভিযোগের বিষয়ে সুরাহা সম্ভব। এ দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছে কোনো ধরনের অভিযোগ দিয়েছেন কি না’- এমন প্রশ্নের জবাবে আদনান সোবহান বলেন, তারা এ দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছে যাননি।

সংবাদ সম্মেলনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডোম-ইনোর ডিজিএম মো. সাহেদুল ইসলাম এ প্রতিবেদকে বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনে ল্যান্ড ওনারদের উত্থাপিত অভিযোগ সম্পূর্ণ একপেশে, মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত। ডোম-ইনোর সাফল্যে একটি চক্র ঈর্ষান্বিত হয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য ডোম-ইনোর সুনাম ক্ষুণ্ণ করা। আয়োজকরা অনেক ভবনে আমাদের কাজ করতে দিচ্ছেন না। ভবনে থাকা আমাদের কোটি কোটি টাকার মালামাল রাতের অন্ধকারে চুরি করে অজ্ঞাত নিয়ে গেছেন। কোনো ওনার আবার চুক্তি বাতিলের জন্য আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আস্থাশীল। আমরা ন্যায়বিচার পেয়ে আবার কাজ শুরু করব বলে আশা করছি।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close