খুলনা ব্যুরো

  ২১ জানুয়ারি, ২০২৪

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ খুলনায় নাগরিকদের ৭ দফা দাবি

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে অবিলম্বে অসৎ ব্যবসায়ী, মজুদদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে খুলনা নাগরিক আন্দোলনের নেতারা। তারা বলেছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার মাঠে নামলেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হচ্ছে না। বরং এটি লোক দেখানো অবস্থার সৃষ্টি করছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নিত্যপণ্যের মূল্য সাধারণ জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এতে দারুণভাবে বিপাকে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ।

গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এসব কথা বলেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করনে সংগঠনের সমন্বয়ক ডা. শেখ বাহারুল আলম। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে সৃষ্ট দুর্বিষহ অবস্থার দ্রুত অবসান প্রয়োজন। সিন্ডিকেট ও মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের এই বেহাল দশা। বিভিন্ন প্রান্তে বাজার ব্যবস্থায় যে ভয়াবহ সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে তা নির্মূল করতে হবে।

৭ দফা দাবিগুলো হলো অবিলম্বে অসৎ ব্যবসায়ী মজুদদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ; টিসিবিকে সংস্কার করে নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে তা সহজলভ্য করা; ওএমএস কার্যক্রমের দুর্নীতি রোধ করা; রমজান মাসকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যবসায়ীদের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অনৈতিক কার্যক্রম কঠোরভাবে দমন করা; নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা; খাদ্যদ্রব্য মজুদ সংক্রান্ত যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করা এবং ভোক্তা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিটি জেলায় নিয়মিত গণশুনানির আয়োজন করা।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আ ফ ম মহসিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল নূর মোহম্মদ, অ্যাডভোটের জাহাঙ্গীর আলম সিদ্দিকী, মোজাম্মেল হোসেন খান, এম এ সবুর প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক নেতারা আরো বলেন, শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যই নয়, জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দামও কয়েকগুণ বেড়েছে। আমদানি পণ্যের অজুহাত দেখিয়ে সাধারণ মানুষের পকেট কাটা হচ্ছে। ওএমএস ও টিসিবির পণ্য বিক্রির ব্যবস্থাপনার ক্রটিতে অসহায় মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত মানুষরা সুফল বঞ্চিত হন। প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও তারা রাস্তায় দাঁড়াতে পারেন না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close