নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২১ জানুয়ারি, ২০২৪

ঢাকায় উন্নত বাস চায় যাত্রী কল্যাণ সমিতি

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকারের প্রথম ধাপ হিসেবে রাজধানীর লক্কড়-ঝক্কড় বাস উচ্ছেদ করে সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি কোম্পাানর অধীনে নতুন করে ৫ হাজার উন্নতমানের বাস নামানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গতকাল শনিবার সকালে নগরীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল বলেন, বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত দেশের কাতারে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার ২০২৬ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশের কাতারে শামিল করার কথা বলেছেন। তাই দেশের প্রবেশদ্বার রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের গণপরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

বাংলাদেশের ইতিহাসে পরপর ৪র্থ মেয়াদে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্বরত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী যিনি ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তার হাতে দীর্ঘদিন এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থাকায় তিনি সড়কে বিশৃঙ্খলা থামিয়ে স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা উপহার দেবেন, যাত্রী হয়রানি ও ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধ করবেন এমন আশায় দেশবাসী তার সুযোগ্য নেতৃত্বের দিকে অধীর আগ্রহে দীর্ঘ অপেক্ষায় আছে। সরকার ধারাবাহিকভাবে ৩য় মেয়াদের ক্ষমতা শেষ করে ৪র্থ মেয়াদে নতুন করে দায়িত্ব নিয়েছে।

সড়কের অবকাঠামো নির্মাণে দেশব্যাপী বৈপ্লবিক পরিবর্তন হলেও নতুন সরকারের চলতি মেয়াদে সড়ক পরিবহন সেক্টরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, সড়কে শৃঙ্খলা, লক্কড়-ঝক্কড় যানবাহন উচ্ছেদ করে উন্নত দেশের আদলে স্মার্ট, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবি দেশবাসীর। তাই তিনি নতুন সরকারের পরিকল্পনায় রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ছোট ছোট যানবাহনের পরিবর্তে সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি কোম্পানির অধীনে অথবা পিপিপির অধীনে উন্নতমানের ৫ হাজার নতুন বাস নামানোর দাবি জানান। একই পদ্ধতিতে সারা দেশে স্মার্ট বাস সার্ভিস গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়ার জন্যও দাবি জানান তিনি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভুক্তভোগী নগরবাসী দীর্ঘ সময় ধরে অপরিচ্ছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নোংরা আবর্জনায় ভরপুর পরিবহনগুলোতে প্রতিদিন যাতায়াত করছে।

যানজট-জনজটে আটকা পড়ে প্রতিদিন কর্মক্ষম মানুষের লাখো কোটি টাকার শ্রমঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য, সিটিং সার্ভিসের নৈরাজ্য, গণপরিবহনগুলো মুড়ির টিন বানিয়ে ইচ্ছা মতো যাত্রী হয়রানি চলছে।

বিভিন্ন সূত্র উল্লেখ করে মোজাম্মেল বলেন, বর্তমানে রাজধানীর যানজট ও যাত্রী ভোগান্তি নিরসনে মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মিলে প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকা খরচের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। জাইকা সমীক্ষা অনুযায়ী ৬টি মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মাত্র ৩৫ শতাংশ যাত্রী পরিবহনে সক্ষম হবে। ৬৫ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করবে বিদ্যমান লক্কড়-ঝক্কড় বাস। অথচ মাত্র ৫ হাজার নতুন বাস নামাতে মাত্র আড়াই থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। সরকার চাইলে পিপিপির মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের মধ্যে দিয়ে এই ধরনের বাস সার্ভিস চালু করা যেতে পারে। যার মধ্যে দিয়ে রাজধানীবাসীর যাতায়াতের ভোগান্তি লাঘব করা সম্ভব। অবশ্যই সরকারকে মাথায় রাখতে হবে উন্নত দেশগুলোর বাস চলাচল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close