দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

  ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

তুলার আবাদ বাড়লেও লোকসানের শঙ্কা

হাইব্রিড ও উচ্চফলনশীল জাতের তুলা চাষ প্রবর্তনের ফলে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় তুলার ফলন বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে প্রতিকূল আবহাওয়া ও তুলা আবাদে বাড়তি খরচ হওয়ার কারণে লোকসানের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।

চলতি মৌমুসে দৌলতপুরে ২ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে তুলাচাষ হয়েছে। উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের তুলা চাষি রেজাউল ইসলাম জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফুল-ফল বেশি মাত্রায় ঝড়ে গেছে। প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। ফলন হবে ৮-১০ মণ তুলা। ৮-৯ মাসের ফসলে যা বর্তমান বাজারমূল্যে ভালো লাভ হবে না। এ বছরে মিল মালিকরা এ গ্রেডের তুলা ৩ হাজার ৮০০ টাকা ও বি গ্রেডের তুলা ৩ হাজার ৪০০ টাকা দামে কিনছে। আগামীতে লোকসান কমাতে প্রতি মণ তুলা ৪ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করার দাবি জানান কৃষক।

আল মদিনা ইন্ডাস্ট্রির মালিক গোলাম সাবির জানান, আন্তর্জাতিক বাজার সমন্নয় করে তুলার ময়েশ্চার ১-১৪ হলে এ গ্রেড ও ১৫-১৮ ময়েশ্চার বি গ্রেড করে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছরে তুলা ক্রয় করা হচ্ছে এ গ্রেড প্রতি মণ ৩ হাজার ৮০০ এবং বি গ্রেড ৩ হাজার ৪০০ টাকা। তবে গুটিযুক্ত তুলা ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

কুষ্টিয়ার প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ আল মামুন বলেন, গত মৌসুমের তুলনায় এবার তুলার চাষ বেড়েছে। আগামী মৌসুমে প্রণোদনার ব্যবস্থা করব চাষিদের জন্য। প্রতিনিয়ত চাষিদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ বছর বৈরী আবহাওয়ার কারণে চাষিরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া চাষিদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বীজ নির্ধারণ, বীজতলা রোগমুক্ত রাখতে চাষিদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। হাইব্রিড জাতের উচ্চফলনশীল তুলা চাষে আগ্রহী কৃষক ন্যায্য দাম পেলে আগামী বছরে তুলা চাষির সংখ্যা বাড়বে বলে জানান তুলা চাষিরা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close