সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

  ১৪ জানুয়ারি, ২০২৪

কুয়াশা আর তীব্র শীতে নষ্ট হচ্ছে বোরো বীজতলা

নীলফামারীর সৈয়দপুরে কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশার কবলে বোরো ধানের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে আবাদ ব্যহত হওয়ার আশংকা করছেন কৃষকরা। সৈয়দপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষ্য মাত্রায় আপাতত মোট ২০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়। কিন্তু গত ৩০ ডিসেম্বরের পর থেকে কুয়াশা আর তীব্র শীতে উপজেলার অধিকাংশ বীজতলা নষ্টের পথে।

আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, গত ২ জানুয়ারি থেকে ৯ ডিগ্রি থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠানামা করছে। শনিবার ও ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

অনেকের মতে, কুয়াশা থেকে বাঁচতে বীজতলায় পলিথিন এর ব্যবহার করেও লাভ করতে পারছে না কৃষকরা। চলতি মৌসুমে অধিকাংশ কৃষককেই চারা কিনে ধান রোপণ করতে হবে। সরকারি ভাবে সাহায্য সহযোগিতা না করলে অনেক কৃষকই লোকসানের কবলে পড়বেন।

উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন এর কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান ৩০ ডিসেম্বর থেকে সৈয়দপুরে প্রচন্ড শীত হলেও গত ৫ দিন থেকে সারা আকাশ কুয়াশাছন্ন থাকায় সুর্যের দেখা মেলেনি। কুয়াশা আর বৃষ্টির মতো শিশির পড়ে বেশিরভাগ বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এবারে চড়া দামে চারা কিনে ধানের আবাদ করা ছাড়া উপায় থাকবে না।

বাংগালী পুর ইউনিয়ন এর কৃষক হেলালও বেলাল জানায়,এবারে ১ বিঘা জমিতে বোরো আবাদের জন্য বীজতলা তৈরি করেছিলাম কিন্তু গত ৭/৮ দিন থেকে ঘন কুয়াশা আর শীতের তীব্রতায় বীজতলার করুন অবস্থা। পলিথিন মোড়া দিয়েও কাজ হচ্ছে না। ৭/৮ দিন থেকে প্রায় প্রতিদিনই ৯ ডিগ্রি থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠানামা করায় বীজতলার গোড়া পঁচে যাচ্ছে। এভাবে আরো ২/১ দিন তাপমাত্রা উঠানামা করলে আবাদ করা মুশকিল হয়ে পড়বে।

সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভুষন রায় বলেন, এবারে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যেসব বীজতলা কুয়াশায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, সেগুলো জমিতে সেচ দিয়ে সারাদিন ভিজিয়ে রেখে বিকালে পানি বের করে দিতে হবে।এতে বীজতলার ক্ষতির আশংকা থাকবেনা। প্রয়োজনে এবিষয়ে কৃষকদের সহায়তা করা হবে বলে জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close