প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৮ জানুয়ারি, ২০২৪

হানিনাট খাওয়ার আগে জেনে নিন...

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে হানিনাট ভীষণ পরিচিতি পেয়েছে। নাম শুনেই বোঝা যায় এটি মূলত মধু আর বাদাম মিশ্রিত কোন খাবার। কিন্তু সাধারণ এ খাবার কেনইবা এ পরিচিতি পেল এ প্রশ্ন কমবেশি সবারই। সে যাই হোক, হানিনাট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনাও রয়েছে বিস্তর। বিশেষ করে শীত আসলে হানি নাটের বিক্রি ও আলোচনা বেড়ে যায়। বিভিন্ন চটকদার বিজ্ঞাপনে হানিনাট খাবারের যেসব উপকারিতা সম্পর্কে বলা হয় তা কি আদৌ সত্য?

মধু ও বাদাম দুটিই পুষ্টিকর বলে একসঙ্গে খেলে উপকারিতা মেলে বেশি। কিন্তু কিছু কিছু মানুষের জন্য এটি হতে পারে বড় বিপদের কারণও। বিশেষ করে তিন শ্রেণির লোকের জন্য হানিনাট ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে- ডায়াবেটিস রোগী, স্থুলতার সমস্যায় ভুগছেন যারা এবং কিডনি জটিলতায় আছেন যারা। তাহলে হানিনাট কাদের জন্য প্রযোজ্য? সবাই কি খেতে পারবে এটি? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ডায়াবেটিস রোগী: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাদ্যাভ্যাস খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনুপযোগী খাবারের মধ্যে মধু একটি। তাই হানিনাট ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়া নিষেধ। মধুর মূল উপাদান গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ। তাই মধু খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে।

ওজন বেশি থাকলে: যাদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি এবং যারা ওজন কমাতে চাইছেন, তারা হানিনাট খাবেন না। মধু সরল শর্করা। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক বেশি বলে এটি খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে। বাদামের পরিমাণ খুব বেশি থাকে বলে শরীরে বাড়তি ক্যালোরি যোগ হয়। তাই হানিনাট তাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

কিডনি রোগী: কিডনি ক্ষেত্রে সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিন খেতে নিষেধ করা হয়। তাই কোনো কিডনি রোগী হানিনাট খেলে বাদামের কারণে তার ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে কিডনিজনিত জটিলতা, যেমন- পা ফুলে যাওয়া, শরীর চুলকানো, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি আরো বাড়বে।

সব খাবার সবার জন্য উপযোগী নয়। হানিনাটও সবার জন্য উপযোগী নয়। এর বিক্রেতারা প্রচারণার সময় বলে থাকেন, এটি যৌন দুর্বলতা থেকে মুক্তি দেবে। কিন্তু সত্যি কথা হচ্ছে, হানিনাটে এমন কোনো বিশেষ উপাদান নেই, যা যৌন দুর্বলতা দূর করবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close