সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

  ০৮ জানুয়ারি, ২০২৪

ভোট দিলেন দুপা হারা সুজাত

‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি পছন্দমতো তাকে দেব।’ আজকে নির্বাচনের পরিবেশ খুবই ভালো মনে হচ্ছে। তাই পা না থাকা সত্ত্বেও নির্ভয়ে হুইলচেয়ারে চেপে সকাল সকাল ভোট দিতে এসেছি। গতকাল রবিবার সকাল ৯টার দিকে ফরিদপুর-২ আসনের সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে এসব কথা বলেন প্রতিবন্ধী মো. সুজাত মাতুব্বর (৪০)। তিনি ইউসুফদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

পার্শ্ববর্তী সোনাপুর ইউনিয়নের চান্দাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্র ভোট দিতে আসেন ১১০ বছর বয়সি মোফাজ্জেল মাতুব্বর। তিনি বলেন, এটাই হয়তো আমার জীবনের শেষ ভোট। তাই কষ্ট হলেও দিতে এসেছি। চোখে কম দেখি। তার পরও ভোটের পরিবেশ ভালো মনে হইতেছে। জোগারদিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ভোট দিতে আসেন ১৫ সন্তানের জননী শত বছর বয়সি কাঞ্চন বেগম। তিনি বলেন, এ বয়সে ভোট দিতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। ভোট ভালো হইতেছে। কোথাও কোনো গ্যাঞ্জাম নেই।

ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের বেশির ভাগ কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ভোটার উপস্থিত তুলনামূলক কম। তবে কিছু কেন্দ্রে নারী ভোটারের লাইন ছিল চোখে পড়ার মতো। কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে। পুরো আসনেই নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে।

সকালে সাড়ে ৮টার দিকে নৌকার প্রার্থী শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী গট্ট ইউনিয়নের রসুলপুর কেন্দ্রে ভোট দেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া ভোট দেন তালমা ইউনিয়নের তদমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে।

সালথার গট্টি ইউনিয়নের জয়ঝাপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার বুলেট বৈরাগী বলেন, কোথাও কোনো ধরনের সমস্যা নেই। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close