চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
চকরিয়ায় ফরম সংকট
ভোটার হতে পারছেন না ১০ হাজার নারী-পুরুষ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ভোটের আবেদন ফরমের সংকট কাটেনি এখনো। এতে ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া প্রায় ১০ হাজার নারী-পুরুষ সরকারের দেওয়া সময়ে ভোটার হতে না পেরে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার গাফিলতিতে চকরিয়ায় চাহিদা অনুযায়ী ফরম সরবরাহ না করায় এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তবে উপজেলা নির্বাচন অফিস চাহিদামতো ফরম সরবরাহ দিতে না পারার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাত্র দুই বছরের মধ্যে ভোটর হালনাগাদ করতে গিয়ে অধিকসংখ্যক নারী-পুরুষ ভোটার হতে আগ্রহ প্রকাশ করায় পর্যাপ্ত ফরম দেওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ২০১৫ সালে সর্বশেষ হালনাগাদ ভোটার করা হয়। ওই সময়ের ভোটার সংখ্যার অনুপাতে সারা দেশের তিন দশমিক পাঁচ শতাংশ ভোটার করার পরিকল্পনা নিয়ে ফরম সরবরাহ করা হয়।
নির্বাচন কর্মকর্তা আরো বলেন, চকরিয়ায় ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৭১ হাজার ৪৫৩ জন। পুরো দেশের সমীক্ষার অধিক চার দশমিক পাঁচ শতাংশ ভোটার করতে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়নে ৩৯ জন সুপারভাইজরের মাধ্যমে ১৯৬ জন তথ্য সংগ্রহকারীর কাছে ১২ হাজার আবেদন ফরম পাঠানো হয়েছে। ভোটার অনুপাতে দুই বছরের মধ্যে নয় শতাংশ নারী-পুরুষ ভোটার হতে চাওয়া অবিশ্বাস্য। এই অঞ্চলে অসচেতনতা ও প্রকৃতিগতভাবে জন্মহার বেশি হলেও ভোটার হতে ইচ্ছুকের পরিমাণ এত বেশি হওয়ার কথা নয় বলে নির্বাচন কর্মকর্তার অভিমত। যারা এবার ভোটার হতে পারবেন না তারা আগামী জানুয়ারিতে ফের হালনাগাদকালে ভোটার হতে পারবেন বলেও তিনি জানান।
কিন্তু ভোটার তথ্য সরবরাহকারীরা জানায়, উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে প্রাপ্ত ফরমের চেয়ে তিনগুণ বেশি ভোটার হতে ইচ্ছুক বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছে।
এলাকার জনপ্রতিনিধিরা জানান, চকরিয়ায় ২০০৯ সালে ভোটার হতে ইচ্ছুক বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষকে ভোটার করা হয়নি। ২০১৪ ও ১৫ সালে যে সময় ভোটার হালনাগাদ করা হয়, ওই সময় অল্প দিনের ব্যবধানেই এসএসসি, এইচএসসি, ডিগ্রি ও সমমানের মাদরাসার শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ভোটার হয়নি। এবার বোর্ড পরীক্ষা-পরবর্তী সময়ে ভোটার হালনাগাদ হওয়ায় বাদ পড়া শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে ভোটার হতে ইচ্ছে পোষণ করায় আগ্রহী ভোটারের সংখ্যা অত্যধিক বেড়ে গেছে।
জনপ্রতিনিধিরা আরো জানান, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ অঞ্চলে অসচেতনতা ও প্রকৃতিগতভাবে জন্মহার বেশি বলে যে মন্তব্য করেছেন তা সঠিক নয়। দেশের একজন বৈধ নাগরিক জন্মনিবন্ধন মতে যার বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তার ভোটার হওয়ার নাগরিক অধিকার আছে।
তবে নির্বাচন কর্মকর্তাও স্বীকার করেছেন ভোটার হতে আগ্রহী ৮-৯ হাজার নারী-পুরুষ ফরম সংকটের কারণে ভোটার হতে পারছে না। তবে, তথ্য সংগ্রহকারীদের কাছে কাগজপত্র জমা দেয় তথ্যাদি পাওয়ার পর বাদ পড়া ভোটারের সঠিক সংখ্যা জানা যাবে।
"