পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
পেকুয়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী জয়প্রকাশ চাকমা ও কম্পিউটার অপারেটর বাহাদুরের বিরুদ্ধে গভীর নলকূপ ও লাতিন দেওয়ার কথা বলে পাঁচ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
গত শুক্রবার সকালে পেকুয়া চৌমুহনী উপজেলা প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে ভুক্তভোগীরা এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে জন্নাতুল তাহামিনা সিমু জানান, মগনামার মটকাভাংগা গ্রামের মো. আজমগীর, রাজাখালীর সুন্দরীপাড়ার আলী আকবরের ছেলে মনজুর আলম, পেকুয়া ইউনিয়নের সাবেকগুলদি গ্রামের নুরুল কবিরসহ ১৬টি গভীর নলকূপ ও ২২টি পাকা লাতিন দেওয়ার কথা বলে পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী জয়প্রকাশ চাকমা ও একই অফিসের কম্পিউটার অপারেটর বাহাদুর মিলে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। বিগত দেড় বছর আগে ওই টাকাগুলো লোকজনের সামনে প্রদান করা হয়। টাকা প্রদানের পর ফিল্ড অফিসার ফোরকান, আনিছ, বদি আলম স্থানসমূহ পরিদর্শন করেন।
ভুক্তভোগী পূর্ব মেহেরনামার মনচুর জানান, আমি ৫টি ডিপ টিউবওয়েল ও ৬টি লাতিন পাওয়ার আশায় ২ লাখ টাকা প্রদান করি। ২ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও এখনো ডিপটিউবওয়েল পাওয়া যায়নি। বর্তমানে আমরা ডিপটিউবওয়েল অথবা পাওনা টাকা পেতে চাই।
এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা জনস্বাস্থ্যের উপসহকারী প্রকৌশলী জয়প্রকাশ চাকমা জানান, এভাবে টিউবওয়েল দেওয়া যায় না। টিউবওয়েল দেওয়ার জন্য উপজেলায় একটি কমিটি আছে। তারা যাচাই-বাছাই করে টিউবওয়েল দেবেন। তিনি ভুক্তভোগীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিসের কম্পিউটার অপারেটর বাহাদুরের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
"