চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

শিক্ষকের ভুল উত্তরপত্রে ২৫ শিক্ষার্থীর সর্বনাশ

প্রতারণার অভিযোগ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দেবাশীষ চন্দ নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শেষ হওয়া ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার এমসিকিউ উত্তরপত্রে ভুল উত্তর সরবরাহ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ২৫ শিক্ষার্থী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে থানাহাট এ ইউ পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে। অভিযোগটি ভিত্তিহীন বলে দাবি ওই শিক্ষকের।

অভিযুক্ত শিক্ষক ওই প্রতিষ্ঠানের গণিত বিষয়ের সহকারী শিক্ষক। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৫ মিনিট আগে সহকারী শিক্ষক দেবাশীষ চন্দ্র কেন্দ্রের ১৪ নম্বর কক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থীদের এমসিকিউ উত্তর সরবরাহ করা হবে জানিয়ে উত্তর লিখতে নিষেধ করেন। পরে তিনি একটি লিখিত কাগজ হাতে নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের এমসিকিউ উত্তর লিখতে বলেন।

শিক্ষার্থী শাহানাজ পারভীন, পুষ্পিতা আক্তার, ঈষিতা খাতুন জানায়, পরীক্ষা শেষে তারা বাড়িতে ফিরে দেখে স্যারের সরবরাহ করা সব উত্তর ভুল। এ বিষয়ে স্যারের কাছে গেলে তিনি বলেন, ‘সমস্যা নেই তোমরা পাশ করলেই হলো’। অভিভাবকদের সঙ্গে পরামর্শ করে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করতে দেরি হয়েছে। অভিযোগ পত্রের অনুলিপি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড দিনাজপুরের চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেওয়া হয়েছে।

পরীক্ষার্থী ঈষিতা খাতুনের বাবা ঈদ্রিস মন্ডল বলেন, আমার মেয়ে দেবাশীষ স্যারের কাছে ১৪ মাস গণিত বিষয়ে প্রাইভেট পড়েছেন। প্রস্তুতিও ভালো ছিল। কিন্তু স্যার ভুল উত্তর লিখে দেওয়ায় আমার মেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।

শিক্ষার্থী তাসনিম এলাহী তুরার বাবা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুর-ই এলাহী তুহিন বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে আমি ওই শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি কিন্তু এখনো পারিনি। ওই শিক্ষকের ভুল উত্তর লিখে ওই কক্ষের ৪৮ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪৬ জনই লিখে বিপাকে পড়েছেন।

এদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষক দেবাশীষ চন্দ্র বলেন, ‘পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ধরণের কোনো উত্তরসরবরাহ করিনি। অভিযোগটি ভিত্তিহীন।’

থানাহাট এ ইউ পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল হক বলেন, বিষয়টি সর্ম্পকে আমি অবগত নই।

থানাহাট এ ইউ পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৈয়ব আলী বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী পাশ করা নিয়ে সংশয়ে পড়েছেন। এ ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন বলে জানান তিনি।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, অভিযোগপত্রটি পেয়েছি। এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close