আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

  ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বাড়ছে পলিথিনের ব্যবহার হুমকিতে জনস্বাস্থ্য-পরিবেশ

বরগুনার আমতলীতে পলিথিনের দূষণে জনস্বাস্থ্য ও প্রকৃতি-পরিবেশ হুমকির কবলে পড়ছে। অপচনশীল পলিথিনের যত্রতত্র ব্যবহারে ভরাট হচ্ছে নদী-নালা, খাল-বিল। দূষিত হচ্ছে পানি। বিষ ছড়াচ্ছে বাতাসে। শুধু তাই নয়, পলিথিন বর্জ্যরে কারণে উর্বরতা হারাচ্ছে মাটি।

সরেজমিনে গিয়ে উপজেলার বাজারে দেখা গেছে, পলিথিনের ব্যাপক ব্যবহার বেড়েছে। ক্ষুদ্র একটি জিনিস থেকে শুরু করে প্রতিটি পণ্যই এখন পলিথিনের ব্যাগে করে ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন দোকানিরা।

আমতলী শহরের স্থানীয় ব্যবসায়ী ওসমান আলী বলেন, আমাদের শহরে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে পলিথিন। এতে নদী-নালা খাল-বিল, রাস্তাঘাটে অতিরিক্ত পলিথিনের আবর্জনা।

হলদিয়ার কৃষক মো. আলম মিয়া বলেন, পলিথিন আমাদের বহু ক্ষতি করে। এই পলিথিন জমিনের নিচে পড়লে ধানের গুছাটা লাল হইয়া যায়। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে করে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে এ নিষিদ্ধ পলিথিন।

আমতলীতে বসবাসরত আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল করিম বলেন, আমরা জানি পরিবেশ দূষণের কারণে পলিথিনকে সরকার নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু ইদানীং আমরা পলিথিন বন্ধের ব্যাপারে সরকার বা আইনপ্রযোগকারী সংস্থার পক্ষ থেকে কোনো মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে দেখছি না। আইন প্রয়োগ করতে হবে। আইন শুধু কাগজে-কলমে থাকলে হয় না।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. মুনায়েম সাদ বলেন, পলিথিনে বর্জ্য আমরা যত্রতত্র ফেলচ্ছি। এটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। নর্দমাগুলোয় পলিথিন আটকে থাকে। এতে পানি জমে থাকে। পানি জমে থাকায় মশার বংশ বৃদ্ধি পায়। কিছু মানুষকে দেখা যায়, বর্জ্য পদার্থ আগুনে পুড়াচ্ছে। পলিথিন পুড়ালে এর প্রভাব পড়ে মানবদেহ। এমনকি মানবশরীরে বাসা বাঁধতে পারে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন মারাত্মক রোগ।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশ্রাফুল আলম বলেন, পলিথিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুটি প্রচলিত আইন আছে। এই দুই আইনের আওতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়েও করা হয়ে থাকে। এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close