মিলন রায়হান, জয়পুরহাট

  ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

জয়পুরহাট

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শতাধিক বেকারিতে খাদ্য তৈরি

জয়পুরহাট জেলার ৫টি উপজেলার গ্রামগুলোয় গড়ে উঠেছে অসংখ্য অনুমোদনহীন, মানহীন নোংরা পরিবেশে বেকারী ও খাদ্য তৈরির কারখানা। এ সব খাবার খেলে নানা রকম স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে বললেন সংশ্লিষ্ঠরা। কর্তৃপক্ষের নিয়মিত মনিটরিং না থাকাকেই দোষছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার জনতা বেকারী, রাতুল বেকারী, বনলতা সুইসট অ্যান্ড বেকারী, পাঁচবিবি উপজেলার রাখি বেকারী, ক্ষেতলাল উপজেলার মা, বেকারি , মৌনতা বেকারি সহ আরো অনেক বেকারী রয়েছে। এ সব বেকারীতে পরিবেশ ছাড়পত্রসহ অন্যান্য অনুমোদনের কাগজপত্র ছাড়াই জেলাজুড়ে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শতাধিক বেকারী ও খাদ্য তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। এ সকল বেকারী ও কারখানার উৎপাদিত পণ্যে মানবদেহের জন্য ব্যপক ক্ষতিকর বিভিন্ন রং, নানা কেমিক্যাল ও নিম্নমানের কাঁচামাল মিশিয়ে পোড়া তেলে ভেজে পথেঘাটে হাট বাজারে বাজারজাত করা হচ্ছে। এ ছাড়া কারখানাগুলোতে শিশুদের দিয়ে করানো হচ্ছে কাজ। এ সব খাবার খেয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে বলছেন খাদ্য সংশ্লিষ্ঠরা।

বাংলাদেশ ব্রেড বিস্কুট ও কনফেকশনারী প্রস্তুতকারক সমিতি জয়পুরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিলন হোসেন বলেন, ‘যত্রতত্র নানা রকম রং ও পোড়া তেল ব্যাবহার করে বিভিন্ন বেকারী ও খাদ্য তৈরির কারখানা গড়ে উঠছে। যদি কোনো বেকারীতে খাবার মান ঠিক না থাকে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নিবেন সংশ্লিষ্ঠরা।’

আক্কেলপুরের তিলকপুর গ্রামের রুবেল হোসেন বলেন, বেকারির খাবার মান ভালো না। ওনারা বিভিন্ন নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করেন। এ খাবার খেলে শরীরের নানা রকম সমস্যা হতে পারে।

জয়পুরহাট শহরের বদর মাস্টার এলাকার নামে ক্রেতা তানজিল হোসেন বলেন, অস্বাস্থ্যকর বেকারি গুলোতে প্রশাসনের কাছে নিয়মিত অভিযানের দাবি জানাই।

একই সঙ্গে কালাই উপজলোর সুফয়িান, রাজ্জাক হোসনে, জুলফকিার সহ অনেকে একই দাবি জানান।

বাংলাদেশ ব্রেড বিস্কুট ও কনফেকশনারী প্রস্তুতকারক সমিতি জয়পুরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিলন হোসেন বলেন, যত্রতত্র নানা রকম রং ও পোড়া তেল ব্যাবহার করে বিভিন্ন বেকারী ও খাদ্য তৈরির কারখানা গড়ে উঠছে।

জয়পুরহাট জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সুমাইয়া আফরিন জিনিয়া বলেন, বেকারি গুলো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি এবং খাদ্যে রং মেশায় এই বিষয়টি সত্য। দ্রুত এসব খাবারগুলো ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে পরিক্ষা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জয়পুরহাট সিভিল সার্জন ডা. মো. আকুল উদ্দিন জানান, কৃত্তিম রং বা ভেজাল মেশানো খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন রোগ হতে পারে। শিশু থেকে সব বয়সী মানুষ বেকারী খাদ্য সামগ্রীর উপর নির্ভশীল। তাই সকলকে এই বেকারির খাবার খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন হওয়ার জন্য আহবান জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close