মো. আব্দুর রউফ, ধামরাই (ঢাকা)
বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ দেড় লাখ টাকায় রফা
ঢাকার ধামরাইয়ে বিয়ের প্রলোভনে এক গার্মেন্টকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে হাইওয়ে থানা পুলিশের এক সদস্যের বিরুদ্ধে। ধর্ষণকালে জনতার হাতে আটক ধর্ষক দেড়লাখ টাকা উৎকোচের বিনিময়ে মুক্তি পেলেও ধর্ষিতা বিয়ের দাবিতে অনঢ়। ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছে ধর্ষকের পরিবার ও প্রতিবেশী লোকজন বলে জানা গেছে।
গত বুধবার সকালে সরেজমিনে গেলে স্থানীয় লোকজন জানান, শ্রীরামপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে রুবেল হোসেন হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত আছে। সে বিয়ের প্রলোভনে প্রলুব্দ করে গত রোববার রাতে তার চাচা আয়নাল হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া ও গ্রাফিক্স টেক্সটাইল এ্যান্ড গার্মেন্ট কারখানার এক অপারেটরের ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করে। আশপাশের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে ধর্ষক রুবেল ও গার্মেন্ট কর্মীকে একই রুমে তালাবদ্ধ করে রাখে। গত মঙ্গলবার দিনভর বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় সমঝোতা বৈঠকের এক পর্যায়ে দেড়লাখ টাকার বিনিময়ে রফাদফা করে ধর্ষককে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় স্বজনরা। তবে নির্যাতনের শিকার ওই গার্মেন্টকর্মী বিয়ের দাবিতে অনঢ় রয়েছেন। তাকে বিয়ে না করলে ওই ধর্ষকের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার হুমকি দেন তিনি।
ওই গার্মেন্টকর্মী জানান, পুলিশ সদস্য রুবেল হোসেন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক করে। পরে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করলে ডাক চিৎকার দেন তিনি। পরে স্থানীয়রা এসে রুবেলকে ঘরের মধ্যে আটক করে। এদিকে, রুবেলের পরিবারের লোকজন ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে আপোস করার জন্য প্রস্তাব দিচ্ছে বলেও জানান তিনি। তবে তিনি এ প্রস্তাবে রাজি নন।
প্রতিবেশী আয়নাল হোসেন, জামাল হোসেন ও আতিকুর রহমান আতিক বলেন, পুলিশ সদস্য রুবেলের বাবা মোসলেম উদ্দিন মেয়ের মা-বাবাকে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এখন রুবেলের ওই মেয়েটিকে পছন্দ হচ্ছে না। বিধায় এ পর্যায়ে বিয়েও হচ্ছেনা। এছাড়া তারা বলেন, বিষয়টি যেহেতু গ্রাম্য সালিশি বৈঠকে আপোস মিমাংসা করা হয়েছে সেহেতু এ নিয়ে পত্রিকায় লেখালেখি করে কোন লাভ নাই।
এ ব্যাপারে পুলিশ সদস্য রুবেলের বাবা মোসলেম উদ্দিন বলেন, আমি মেয়েটিকে পছন্দ করে তার মা-বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আমার ছেলে এখন ওই মেয়েটিকে কোনমতেই পছন্দ করছে না। তাই আমি গ্রামের লোকজন নিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করেছি।
"