রাহাত হোসেন, হাবিপ্রবি

  ২৫ মে, ২০২৪

হাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে কাঠগোলাপের মুগ্ধতা

সবুজ বৃক্ষরাজি আর নান্দনিক সৌন্দর্যে ঘেরা দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)। গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহের মধ্যে যখন মানুষ ও প্রাণিকুলের জীবন ওষ্ঠাগত, তখন ওই গরমে বাহারি রঙের ফুলের সৌন্দর্য ছড়িয়ে পড়ছে প্রকৃতির মাঝে। রং-বেরঙের নানা প্রজাতির ফুলে সেজে উঠেছে ক্যাম্পাস। তাপদাহের মধ্যে জারুল, সোনালু, শিমুল, কাশফুল, কৃষ্ণচূড়াসহ নানা বর্ণের ফুলে মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়ছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শোভা ছড়াচ্ছে কাঠগোলাপ। কাঠগোলাপ ফুলের অপরূপ শোভায় অন্যরকম পরিবেশ তৈরি হয়েছে উত্তরবঙ্গের অন্যতম সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হাবিপ্রবিতে। মোহনীয় কাঠগোলাপের সাদা রঙের পাঁচ পাপড়ির কেন্দ্রে থাকে হলদেটে আভা। এর বর্ণিল সৌন্দর্য মনোমুগ্ধকর। এর চোখ ধাধানো সৌন্দর্যেও মায়া ছড়িয়ে ক্যাম্পাসে।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান ফটক পার হয়ে বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ করলেই চোখ পড়বে কাঠগোলাপ ফুলের দিকে। এর ছড়ানো পাতা যেন ছাতার মতো। সাদা-হলুদ বর্ণের ফুল যেন অভ্যর্থনা জানাচ্ছে। কাঠগোলাপ ফুলের সৌন্দর্যে বিমোহিত শিক্ষার্থীরা। অনেক নারী শিক্ষার্থী খোঁপায় গুজে দিচ্ছেন কাঠগোলাপ। কাঠগোলাপ মূলত প্রশান্ত মহাসাগরের উষ্ণ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের ফুল। এ উদ্ভিদের রয়েছে অসংখ্য প্রজাতি। আমাদের দেশে গুটিকয়েক প্রজাতি আছে। এরমধ্যে প্লুমেরিয়া রুব্রা, প্লুমেরিয়া অ্যালবা, প্লুমেরিয়া অবটুজা ও প্লুমেরিয়া পুডিকাই বেশি। কাঠগোলাপ গাছ দীর্ঘ ছালআবৃত এবং বৃত্তাকার শাখাপ্রশাখায় বিস্তৃত। গাছটির শাখা-প্রশাখা কম। সোজা ওপরের দিকে ওঠে যায়।

কাঠগোলাপ ফুল সাদা, গোলাপী, লালসহ একাধিক বাহারি রঙের হতে পারে। এ ফুলগুলো সুগন্ধ ছড়ায়। সন্ধ্যারাতে এর সুগন্ধ তীব্র হয়। বসন্তের শেষভাগে বা গ্রীষ্মের শুরুতে এসব দৃষ্টিনন্দন ও সুগন্ধিযুক্ত ফুল ফুটতে শুরু করে। কাণ্ডের ডগায় ধরে গুচ্ছ ফুল। গাছের নিচে ফুলের পাপড়ি ঝরেপড়ে। তৈরি হয় নৈসর্গিক সৌন্দর্য। এ ফুলের রুপে মুগ্ধ হয়ে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাত জুঁই বলেন, কাঠগোলাপ ফুল আমার প্রিয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close