বল হাতে পেয়ে প্রথম ওভারেই উইকেট, পরের ওভারে আরো দুটি। সেখানেই থেমে থাকলেন না ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। পরে তিনি শিকার ধরলেন আরো চারটি। স্বপ্নের মতো প্রত্যাবর্তন বুঝি একেই বলে! শ্রীলঙ্কার লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার ছয় মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার উপলক্ষ রাঙালেন রেকর্ড গড়া বোলিংয়ে।

কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে পরশু বৃষ্টিবিঘ্নিত তৃতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ৯৬ রানে গুটিয়ে দিতে ৫.৫ ওভারে ১৯ রানে ৭ উইকেট নিয়েছেন হাসারাঙ্গা। ওয়ানডে ইতিহাসে পঞ্চম সেরা বোলিং এটি। শ্রীলঙ্কার তৃতীয় বোলার হিসেবে এক ম্যাচে অন্তত ৭ উইকেট পেলেন তিনি।

সেরা বোলিংয়ের বিশ্ব রেকর্ডটাও একজন শ্রীলঙ্কানের। ২০০১ সালে কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে জিম্বাবুয়েকে ৩৮ রানে গুটিয়ে দিতে ১৯ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন বাঁহাতি পেসার চামিন্দা ভাস। এ সংস্করণে ৮ উইকেট নেই আর কারও।

হাসারাঙ্গার ১৯ রানে ৭ উইকেট প্রেমাদাসায় সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। ২০০৯ সালে ভারতের বিপক্ষে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ২০ রানে ৬ উইকেট ছিল এখানে আগের সেরা।

গত আগস্টে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে হ্যামস্ট্রিং চোটে পড়েন হাসারাঙ্গা। এরপর দেশের হয়ে এশিয়া কাপ ও ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে দলে ফিরলেও প্রথম দুম্যাচে তাকে রাখা হয়নি একাদশে। এবার ফিরেই সব আলো কেড়ে একাই কেড়ে নিলেন তিনি।

এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দফা বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৭.৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৪১ রান তুলে ফেলে জিম্বাবুয়ে। আবার খেলা শুরু হলে পরের ওভারে বল হাতে পান হাসারাঙ্গা। ওভারের শেষ বলে টাকুদজোয়ানাশে কাইটানোকে ফিরিয়ে তার শিকার ধরা শুরু।

হাসারাঙ্গার পরের ওভারে এলবিডব্লিউ হন জয়লর্ড গাম্বি ও ক্রেইগ আরভিন। ২৬ বছর বয়সি স্পিনারের প্রথম দুটি উইকেট ধরা দেয় গুগলিতে, পরেরটি লেগ স্পিনে। এরপর আবার বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকে লম্বা সময়, আরেক দফা কমে আসে ম্যাচের দৈর্ঘ্য। এ যাত্রায় নিজের পরের ওভারে এসে চতুর্থ শিকার ধরেন হাসারাঙ্গা, এলবিডব্লিউ হন মিল্টন শুম্বা। ৪ ওভারের প্রথম স্পেলে এক মেডেনে ৭ রানে ৪ উইকেট নেন হাসারাঙ্গা।

দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে আবার উইকেটপ্রাপ্তির আনন্দে মাতেন তিনি, ক্লাইভ মাডান্ডেকে বোল্ড করে পূর্ণ করেন ৫ উইকেট। তার আগে জিম্বাবুয়ে হারায় আরো দুই ব্যাটসম্যানকে। পরে টানা দুই বলে ওয়েলিংটন মাসাকাদাজা ও ব্লেসিং মুজারাবানিকে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংস গুটিয়ে দেন হাসারাঙ্গা। নিজের আগের সেরা ২৪ রানে ৬ উইকেট ছাড়িয়ে তিনি নাম লেখান রেকর্ড বইয়ে।

"