নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

আ.লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশ হচ্ছে না

ঢাকায় আগামী ২৬ এপ্রিল আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশ হচ্ছে না। পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ স্থগিত করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। আর হিট অ্যালার্টের কারণে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সমাবেশ পেছানো হয়েছে। এটি ৩ মে (শুক্রবার) বা অন্য কোনো তারিখে হতে পারে। এদিকে, একই দিন রাজধানীতে ফের দুদলের সমাবেশ ঘিরে রাজনীতিতে কিছুটা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে স্থগিত আর পেছানোর মধ্য দিয়ে সেই আগুন আপাতত নিভে গেল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটিই ছিল দুদলের প্রথম পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি।

এ বিষয়ে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে আগামী ২৬ এপ্রিল শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের। কিন্তু সমাবেশের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। যে কারণে সমাবেশ আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।

এদিকে একই দিন দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশে করার কথা ছিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির। কিন্তু তীব্র গরমের কারণে সমাবেশে পেছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।

ঢাকা মহানগর বিএনপির সূত্র বলছে, ১ মে শ্রমিক দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে র‍্যালি করবে বিএনপি। তারপর সুবিধাজনক সময়ে সমাবেশ করা হবে। সেটা ৩ মে (শুক্রবার) হতে পারে বা অন্য কোনো তারিখে হতে পারে।

বিএনপির প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবীর বলেন, সারা দেশে চলমান তাপদাহের মধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর হিট অ্যালার্ট জারি করেছে। এ কারণে নির্ধারিত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। পরে সভার নতুন সময় জানানো হবে।

সবশেষ গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে পাল্টাপাল্টি সমাবেশে করেছিল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। সেদিন নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনের মহাসমাবেশ থেকে প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স ও রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালানো হয়। বিক্ষুব্ধ বিএনপি কর্মীদের আক্রমণে একজন পুলিশ সদস্য নিহত হন। এছাড়াও বিএনপি কর্মীরা সমাবেশের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদের ওপরও হামলা চালান। পরে এসব ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close