নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৩ এপ্রিল, ২০২৪

জিরায় স্বস্তি দাম অর্ধেক

দেশে সব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যখন লাগামহীন, ঠিক তখনই জিরার দাম অর্ধেকে নেমেছে। হিলি স্থলবন্দরের আড়ত ও পাইকারি বাজারে কম দামে বিক্রি হচ্ছে মসলাজাতীয় নিত্যপণ্য জিরা। আড়াই থেকে তিন মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি জিরার দাম কমেছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। দুই মাস আগেও প্রতি কেজি জিরার দাম ছিল হাজার টাকার ওপরে। কয়েক দফায় দাম কমে সেই জিরাই বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। কম দামে কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হিলি বাজারে দেখা যায়, মসলার দোকানগুলোয় বস্তায় বস্তায় সাজিয়ে রাখা হয়েছে জিরা। রহমান স্টোরের মালিক রহমান বলেন, তাদের এ ঐতিহ্যবাহী মসলার দোকানে দূরদূরান্ত থেকে প্রতিদিন অনেক ক্রেতা আসেন জিরাসহ বিভিন্ন মসলা কেনার জন্য। আগের থেকে জিরার বেচা বিক্রি অনেকটা বেড়েছে। আগে প্রতিদিন দুই বস্তা বিক্রি করলেও এখন তা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। আরেক জিরা বিক্রেতা আবু তাহের বলেন, আগে ইরানসহ বহির্বিশ্ব থেকে আমদানি হতো জিরা। বর্তমানে আমদানি হচ্ছে ভারত থেকে। চলতি মৌসুমে ভারতে জিরার ফলন ভালো হয়েছে। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিও বেড়েছে। এর ফলে প্রতিনিয়ত কমছে দাম। গত তিন মাসে পর্যায়ক্রমে জিরার দাম কমেছে কেজিপ্রতি ৫৫০ টাকা পর্যন্ত।

ভারতীয় কাকা জিরা ৬০০ টাকা, বাবা জিরা ৬২০, মধু জিরা ৬২০, অমরিত জিরা ৬০০, সোনা জিরা ৬৩০ ও ডিবিগোল্ড জিরা ৬৪০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। মসলা কিনতে আসা রাকিব হোসেন বলেন, হিলিবাজারে ভারতের জিরা কম দামে বিক্রি হচ্ছে শুনে অন্য মসলার পাশাপাশি দুই প্যাকেট জিরা কিনেছি। প্রতি কেজি জিরার প্যাকেট ৬০০ টাকা হিসেবে। হিলি স্থলববন্দরের আমদানিকারকের প্রতিনিধি আজমল হেলাল বলেন, জিরার চাহিদা বেশি। এ কারণে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে জিরার আমদানি। এসব জিরা আসছে ভারতের গুজরাট থেকে। প্রতি কেজি জিরার শুল্ক দিতে হয় ২৩৩ টাকা। হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারত থেকে জিরা আমদানি হয়েছে ৪৪৮ ট্রাকে ৭ হাজার ৩৪৭ টন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close