নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু

ভারতবর্ষ ভাগ হওয়ার আগেই নবপ্রতিষ্ঠিত দুটি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রভাষা কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। ১৯৪৭ সালের জুলাইয়ে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. জিয়াউদ্দিন আহমদ অভিমত ব্যক্ত করেন, হিন্দিকে ভারতের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে যেহেতু স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে, উর্দুকেও পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করা উচিত। এ মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়ার পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করেন। পাকিস্তান সৃষ্টির পর সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রভাষা সম্পর্কে তাৎক্ষণিক কোনো ঘোষণা না দেওয়া হলেও বাংলাকে অবমূল্যায়ন করার প্রবণতা লক্ষ করা যায়।

১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ‘বাংলা ভাষা দাবি দিবস’ উপলক্ষে পূর্ব বাংলায় সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়। ওইদিন ভোরবেলা শত শত ছাত্র ইডেন বিল্ডিং, জিপিও ও অন্যান্য জায়গায় পিকেটিং শুরু করেন। গোটা ঢাকা শহর পোস্টারে ভরে যায়। ছাত্রদের আন্দোলনে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। নানা জায়গায় অনেক ছাত্র আহত হয়। শামসুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান, অলি আহাদসহ ৭০-৭৫ ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর ফলে আন্দোলন দানা বেঁধে ওঠে। স্বাধীন পাকিস্তানে এটিই শেখ মুজিবের প্রথম গ্রেপ্তার।

শেখ মুজিবুর রহমান ও মহিউদ্দিন আহমেদ তাদের দীর্ঘ কারাবাস (২৬ মাস) থেকে মুক্তির জন্য ১ ফেব্রুয়ারি সরকারের কাছে আবেদন করেন এবং জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের মুক্তি দেওয়া না হলে ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে তারা জেলের ভেতর অনশন ধর্মঘট করবেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের দুজনকে ঢাকা থেকে ফরিদপুর জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হলো। শেখ মুজিব ও মহিউদ্দিন সাহেব ফরিদপুর জেলেই অনশন করলেন। দুদিন পর অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নিয়ে তাদের জোর করে নল দিয়ে তরল খাবার দেওয়া হলো। এদিকে শেখ মুজিবুর রহমানের অনশনের বিষয়টি ২০ ফেব্রুয়ারি তদানীন্তন বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য আনোয়ারা খাতুন মুলতবি প্রস্তাব হিসেবে উত্থাপন করলে মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিন নির্লজ্জভাবে এর বিরোধিতা করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close