দেশের কারখানাগুলোয় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিক ও নিয়োগদাতারা আলাপ আলোচনা করে যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তা গ্রহণ করাই সমীচীন হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এমন কথা বলেন। এর আগে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব এহছানে এলাহী ও অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার বৈঠক হয়।

মন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির বৈঠক আগামী মার্চে। আমাদের যে অগ্রগতি এবং শ্রম আইন নিয়ে আমরা যে সব কাজ করছি, সেটার একটা ব্রিফিংয়ের জন্যই আজকের বৈঠক।’

আনিসুল হক বলেন, ‘এটিকে (শ্রম আইন) গুরুত্ব দিচ্ছেন বলেই প্রধানমন্ত্রী এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বভার নিয়েছেন। এ মন্ত্রণালয়কে কতটা গুরুত্বসহকারে দেখেন, সেটারই প্রতিফলন এটা। আমি প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফ করব, তারপর সবকিছু আপনাদের (সাংবাদিক) সঙ্গে আলোচনা করব।’

শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ আরো ভালো হওয়া উচিত বলে মনে করেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, বাংলাদেশে একটা দুর্ঘটনার পর শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ উন্নত করতে যে মনোযোগ এ সরকার দিয়েছে, এ রকম নজির অন্য কোনো দেশে দেখানো কঠিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গেল ১১ বছরে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশের যে আমূল পরিবর্তন হয়েছে, ২০০৩, ২০০৪ ও ২০০৫ সালে শ্রমিকদের যে অবস্থা ছিল, সেটা বিবেচনা করতে হবে। এসব বিবেচনা করেই তাদের (বিদেশিরা) কথা বলা উচিত।

শিল্প-কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের স্বাক্ষরের হার ১০ শতাংশ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি না, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এটা নিয়েও আজ আলাপ-আলোচনা করেছি। প্রধানমন্ত্রীর আগের নির্দেশনা অনুযায়ী একটা পরিবর্তন আমরা এনেছি। খুব শিগগিরই আমি প্রধানমন্ত্রীকে এটা নিয়ে ব্রিফ করব।’ ১০ শতাংশ করা আপনারা যৌক্তিক মনে করেন কি না, এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘শ্রমিক ও এমপ্লয়াররা যেটা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবেন, আমার মনে হয় আমাদের দেশের পরিবেশের জন্য সেটাই গ্রহণ করা সমীচীন হবে।’

"