প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২১ জানুয়ারি, ২০২৪

বিদ্রোহী হামলায় ভারতে ঢুকছে মিয়ানমারের সেনা

মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) হামলায় টিকতে না পেরে পালিয়ে ভারতে ঢুকছে দেশটির জান্তাবাহিনীর শত শত সেনা।

সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমারের এত বেশি সেনা আসার বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে অভিহিত করেছে মিজোরামের প্রাদেশিক সরকার। তারা কেন্দ্রকে আহ্বান জানিয়েছে, মিয়ানমারের এসব সেনাকে দ্রুত দেশে ফেরাতে যেন কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

আরকান আর্মির প্রচণ্ড হামলার মুখে এখন পর্যন্ত ভারতে ঢুকেছে প্রায় ৬০০ সেনা। তারা মিজোরামের লাওয়াংতাই বিভাগে আশ্রয় নিয়েছেন। এসব সেনাদের ঘাঁটি দখল করেছে আরাকান আর্মির সদস্যরা। প্রায় তিন মাস ধরে এসব সেনারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। মিজোরাম সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, মিয়ানমারের এসব সেনাকে আসাম রাইফেলসের একটি ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। ভারত-মিয়ানমারের ওই সীমান্তের দুই পাশের উভয় দেশে অভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বাস রয়েছে। তাদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক আছে।

এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে জরুরিভিত্তিতে কথা বলেছেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা। এ ঘটনার পর ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে বেড়া দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে সীমান্ত সুরক্ষিত রাখার কথা বলেন অমিত শাহ। তিনি আসাম কমান্ডো পুলিশের বিদায়ি প্রশিক্ষণে বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত বাংলাদেশের সীমান্তের মতই সুরক্ষিত থাকবে।

সরকারি সূত্র জানিয়েছে, মিয়ানমারের আশ্রিত এসব সেনাকে দ্রুত তাদের নিজ দেশে পাঠানোর ব্যাপারে অনুরোধ করা হয়েছে। কারণ মিজোরাম সরকারের আশঙ্কা, যদি সেনারা এভাবে ঢুকতে থাকেন; তাহলে সেখানকার পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে।

গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ২০২১ সালে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের জান্তা। কিন্তু এই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামেন সাধারণ মানুষ। অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় এসব মানুষের ওপর ব্যাপক অত্যাচার নির্যাতন চালানো হয়।

এমন পরিস্থিতিতে গত অক্টোবর থেকে মিয়ানমারের তিনটি সশস্ত্র গোষ্ঠী এক হয়ে জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে। তাদের এসব সমন্বিত হামলার মুখে টিকতে না পেরে শত শত সেনা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে যাচ্ছেন। সূত্র : এনডিটিভি

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close