স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘স্থানীয় সরকার বিভাগের চলমান প্রকল্পগুলো গুণগতমান বজায় রেখে দ্রুত সম্পন্ন করা হবে। সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় নতুন প্রকল্প নেওয়া হবে।’

টানা দ্বিতীয়বারের মতো স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনে গতকাল রবিবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মো. তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন। গতকাল সকালে সচিবালয় পৌঁছলে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ফুলেল সংবর্ধনা দিয়ে মন্ত্রীকে তার দপ্তরে নিয়ে যান। এ সময় মন্ত্রণালয়ের অধীন সব অধিদপ্তরের দপ্তর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। পরে স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন তিনি।

মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে পরিকল্পনা নির্ধারণ করেছেন, তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে যে ধরনের কর্মপরিকল্পনা দরকার, তা করা হবে।’ এ সময় টানা দ্বিতীয়বার স্থানীয় সরকারমন্ত্রী হিসেবে তার ওপর আস্থা রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

স্বাগত বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে, টানা দ্বিতীয় মেয়াদে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী হিসেবে মো. তাজুল ইসলাম স্যারকে আমাদের মধ্যে পেয়েছি। বিগত সময়ের মতো ভবিষ্যতেও তিনি সুদৃঢ় নেতৃত্ব দিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে সামনের দিকে এগিয়ে নেবেন।’

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ সময় উপস্থিত কর্মকর্তাদের অভিবাদন গ্রহণ করেন। মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে পূর্বে কাজ করার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে আরো সুন্দর এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। নিয়মশৃঙ্খলা মেনে কাজ করলে তা সবার জন্য কল্যাণকর হবে। যেহেতু আওয়ামী লীগ নির্বাচনের আগে একটি ইশতেহার দিয়েছে এবং জনগণ সেজন্য নৌকাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছে, তাই সে ইশতেহার অনুযায়ী স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য ও কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করে আমাদের ভবিষ্যতের পথ চলতে হবে।’ অতীতের মতো সামনের দিনগুলোতেও মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন সব অধিদপ্তর দেশ ও মানুষের উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে প্রত্যাশা করেন মন্ত্রী।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘গত ৫ বছর এই মন্ত্রণালয় পরিচালনার অভিজ্ঞতা আমাকে অনেক সমৃদ্ধ করেছে, আমাদের সব প্রতিষ্ঠান যার যার জায়গা থেকে কাজ করলে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব।’ এ সময় গৃহীত প্রতিটি প্রকল্পের গুণগতমান রক্ষা এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী দুপুরের পর পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সভাকক্ষে সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগমসহ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং অধীন সব দপ্তর প্রধানদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন। মন্ত্রী পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের দপ্তরগুলো পরিচালনে সমবায় সমিতি আইন যুগোপযোগী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সমবায় বিভাগের সব দপ্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি।

"