নিজস্ব প্রতিবেদক
হজ ফ্লাইট শুরু আজ
হজের প্রথম ফ্লাইট শুরু হচ্ছে আজ শনিবার। এ দিন ১০টি ফ্লাইটে সৌদি আরবে যাবেন চার হাজার যাত্রী। তবে সময় মতো ভিসা না পাওয়া মোয়াল্লেম জটিলতাসহ কিছু অব্যবস্থাপনার অভিযোগ রয়েছে। তবে হজ অফিস বলছে, প্রথম দিনের যাত্রীদের সব কাজ শেষ হয়েছে। কোনো জটিলতা তৈরি করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে বাংলাদেশের বিমান একটি ফ্লাইটে সৌদি যাত্রার মধ্যে দিয়ে শুরু হবে হজযাত্রা। প্রথম ফ্লাইটে যাবেন ৪১৯ মুসল্লি। পর্যায়ক্রমে বিমান বাংলাদেশ ও সৌদি এয়ারলাইন্সের আরো ৯টি ফ্লাইট ঢাকা ছাড়বে।
এরই মধ্যে রাজধানীর আশকোনায় হজ ক্যাম্পে হাজির হয়েছে মুসল্লিরা। সেখানে তাদের তালিমও দেওয়া হচ্ছে। তবে সময় মতো ভিসা-পাসপোর্ট হাতে না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেকে। যেহেতু এবার অতিরিক্ত সøট নেই, তাই রয়েছে ভোগান্তির শঙ্কাও। গত বছর ভিসাসহ নানা জটিলতায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের। তাই এবার বাড়তি সতর্কতার আহ্বান তাদের।
এক সপ্তাহের ফ্লাইটে কোনো জটিলতা দেখছে না হাব ও অফিস। হজ এজেন্সির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাতের মধ্যেই ভিসাসহ পাসপোর্ট দেওয়া হবে। আর হজ অফিস জানিয়েছে, যাত্রা নির্বিঘœ করতে প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কোনো এজেন্সি প্রতারণা করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে হজে যাচ্ছেন এক লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন। এর মধ্যে ভিসা হয়েছে ২৫ হাজার জনের। টিকিট সংগ্রহ হয়েছে ৮২ হাজার।
সৌদি সরকারের সিদ্ধান্তে বিপাকে বিমান। তিন বছর ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়নি এমন উড়োজাহাজ সৌদি আরবে অবতরণ করতে পারবে না এমন শর্তে বিপাকে পড়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান। এ কারণে হজ মৌসুমে দেশটির নিয়মিত ফ্লাইটের টিকেট বিক্রি বন্ধ রেখেছে বিমান। আকস্মিক এ সিদ্ধান্তে বিপদে পড়েছেন সৌদি আরবগামী যাত্রীরা।
বরাবরের মতো এবারও নিজস্ব উড়োজাহাজ দিয়েই হজ ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান। নিয়মিত রুটগুলোতে ফ্লাইট সচল রাখতে ভাড়ায় সংগ্রহ করা হয়েছে পাঁচটি উড়োজাহাজ। ইতোমধ্যে মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠান ফ্লাই গ্লোবাল থেকে তিনটি ট্রিপল সেভেন উড়োজাহাজ যুক্ত হয়েছে বিমানের বহরে। উড়োজাহাজগুলো দিয়ে আগামী তিন মাস ফ্লাইট পরিচালনা করার কথা রয়েছে সংস্থাটির। তবে সৌদি সরকারের নতুন শর্তের কারণে রিয়াদ, জেদ্দা ও দাম্মামে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা অনিশ্চিত বিমানের।
অবশ্য মন্ত্রণালয় বলছে, বিষয়টি সুরাহা করতে দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আলোচনা ফলপ্রসু হলে শর্ত শিথিল করতে পারে দেশটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এ বছর ১৫৫টি বিশেষ ও ৩২টি নিয়মিত ফ্লাইটে বিমান পরিবহন করবে সাড়ে ৬৩ হাজার হজযাত্রী। এ জন্য বিমান ব্যবহার করছে চারটি বোয়িং ট্রিপল সেভেন উড়োজাহাজ যার প্রত্যেকটির আসন সংখ্যা ৪১৯।
"