প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২১ মার্চ, ২০২৪

গোপনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উচ্চপদে আফগানরা

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী অত্যন্ত শাক্তিশালী। দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থান তো বটেই, এমনকি সরকারের গঠন কিংবা পতনের মতো বিষয়গুলোয়ও অতীতে পরমাণু শক্তিধর এ দেশটির সেনাবাহিনীর ভূমিকা দেখা গেছে। আর এই সেনাবাহিনীর ভেতরেই কি না পরিচয় লুকিয়ে ঢুকে পড়েছিল আফগান নাগরিকরা। পাকিস্তানে বসবাসকারী এ আফগান নাগরিকদের মধ্যে দুজন আবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন এবং লেফটেন্যান্ট পদেও পৌঁছে গিয়েছিলেন। অবশ্য ধরা পড়তেই তাদের সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ দাবি করেছেন, পাকিস্তানে বসবাসকারী আফগান নাগরিকরা সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে সক্ষম হয়েছিল এবং তাদের বরখাস্ত করার আগে একজন ব্যক্তি সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পদেও পৌঁছে গিয়েছিলেন। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ডননিউজটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী এ কথা জানান।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসিফ আরো বলেছেন, পূর্ববর্তী পিএমএল-এন সরকারের মেয়াদে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালনের সময় তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত আফগান নাগরিকদের বরখাস্ত করার জন্য ফাইলগুলোয় স্বাক্ষর করেছিলেন। কমিশনড অফিসারদের পদমর্যাদার উল্লেখ করে পাকিস্তানের প্রভাবশালী এ মন্ত্রী বলেন, তাদের (পরিচয় লুকিয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া ব্যক্তিদের) মধ্যে একজন ছিলেন ক্যাপ্টেন এবং অন্যজন ছিলেন লেফটেন্যান্ট।

তিনি আরো বলেছেন, সেনাবাহিনীর এক অফিসারের বাবা চিঠি লিখে দাবি করেন- যদিও তিনি একজন আফগান নাগরিক, তার পরও তিনি বছরের পর বছর ধরে পাকিস্তানে বসবাস করছেন এবং কোয়েটায় সম্পত্তি ও ব্যবসাও প্রতিষ্ঠা করেছেন।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্বে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে অভিন্ন সীমান্তে অলঙ্ঘনীয়তা রয়েছে। কিন্তু (পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে) ডুরান্ড লাইনের কোনো অলঙ্ঘনীয়তা নেই।

তার ভাষায়, কেউ চাইলেই (ডুরান্ড লাইন লঙ্ঘন করে) আমাদের দেশে প্রবেশ করতে পারে, বছরের পর বছর এখানে থাকতে পারে, আইডি কার্ড পেতে পারে এবং এমনকি সেনাবাহিনীতেও যোগ দিতে পারে। পাকিস্তানের এ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে থাকা সীমান্তের মতো আফগানিস্তানের সঙ্গে একই রকম সীমান্ত ক্রসিং প্রটোকল চায় পাকিস্তান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close