প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সব অনিশ্চয়তা কাটিয়ে আজ পাকিস্তানে ভোট

নানা অনিশ্চয়তা কাটিয়ে আজ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে পাকিস্তানে। এর আগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে দেশটিতে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে। পাকিস্তানের কয়েকটি অঞ্চলে গত কয়েক দিনে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ও নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে আশঙ্কার মধ্যেই এই নির্বাচন হতে চলেছে। গতকাল বুধবার পৃথক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন, দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল এবং জিও নিউজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবারের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অপেক্ষাকৃত দুর্বল নির্বাচনী প্রচারণা মঙ্গলবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের জন্য সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের প্রচারণা থেকে বিরত থাকতেও নির্দেশনা জারি করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন।

প্রচারাভিযানের শেষ দিন পিপিপি চেয়ারপারসন বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি লারকানায় গিয়েছিলেন। এটি পাকিস্তানের রাজনীতিতে ‘ভুট্টো রাজবংশের’ ঘাঁটি। আর পিএমএল-এনের শীর্ষ নেতা নওয়াজ শরিফ প্রচারাভিযানের শেষ দিনে কাসুরকে বেছে নিয়েছিলেন। এটি তার ছোট ভাই শেহবাজ শরিফের নির্বাচনী এলাকা। নওয়াজ শরিফের লাহোরে একটি সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু পরে তা বাতিল করা হয়।

ইমরান খানের প্রতিষ্ঠিত দল পিটিআইয়ের ক্ষেত্রে অবশ্য পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। একদিকে দলটিকে তার আইকনিক নির্বাচনী প্রতীক ‘ব্যাট’ থেকে বঞ্চিত হয়েছে, অন্যদিকে দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান অনেক অভিযোগের মুখোমুখি হয়ে কারাগারে আটক রয়েছেন।

এদিকে এক বিবৃতিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী এবং তাদের দলগুলোকে নির্বাচন আইনের ১৮২ ধারা মেনে চলতে বলেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। ১৮২ ধারায় বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাতের পর থেকে কোনো জনসভা, মিছিল, কর্নার মিটিং বা এ জাতীয় কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে কোনো ব্যক্তি অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। আইনের উল্লিখিত বিধান লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

এদিকে ‘নিরাপত্তা’ ইস্যুতে নির্বাচনের দিন ইন্টারনেট বন্ধ রাখার ইঙ্গিত দিয়েছে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তত্ত্বাবধায়ক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গোহর এজাজ মঙ্গলবার নির্বাচনের দিন (আগামীকাল) যেকোনো এলাকায় নিরাপত্তা-সংক্রান্ত সমস্যার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলাকালে সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, নিরাপত্তা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো জেলা বা প্রদেশ থেকে অনুরোধ পেলেই সরকার ৮ ফেব্রুয়ারি ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করার বিষয়টি বিবেচনা করবে। এজাজ দাবি করেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখনো পর্যন্ত ভোটের দিন ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি এবং এই জাতীয় যেকোনো পদক্ষেপ শুধু একটি প্রদেশ বা সংশ্লিষ্ট জেলার অনুরোধে নেওয়া হবে।

এদিকে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ব্যবহারের নিশ্চয়তা দিতে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এক খোলা চিঠিতে সংস্থাটি ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় পাকিস্তান জুড়ে প্রত্যেকের জন্য ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল যোগাযোগ প্ল্যাটফরমে ‘নিরবচ্ছিন্ন অ্যাক্সেস’ নিশ্চিত করার জন্যও কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

অন্যদিকে মঙ্গলবার বেলুচিস্তানের মাকরান বিভাগ ও প্রাদেশিক রাজধানীতে প্রার্থীদের নির্বাচনী অফিস এবং ভোটকেন্দ্র লক্ষ্য করে অন্তত নয়টি গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দ্য ডন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close