প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৭ জানুয়ারি, ২০২৪

নোবেলজয়ী নার্গিসকে আরো ১৫ মাসের কারাদণ্ড

নোবেল বিজয়ী নার্গিস মোহাম্মদিকে আরো ১৫ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ইরান। পশ্চিম এশিয়ার এ দেশটির বিপ্লবী আদালত শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এ নারীকে এ কারাদণ্ড দেয়। তিনি অবশ্য আগে থেকেই কারাগারে বন্দি রয়েছেন। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের বিপ্লবী আদালত শান্তিতে নোবেল বিজয়ী নার্গিস মোহাম্মদিকে অতিরিক্ত ১৫ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে। নার্গিস মোহাম্মদি এরই মধ্যে একাধিক মামলায় কারাগারে ১২ বছরের সাজা ভোগ করেছেন। বিবিসি বলছে, কারাগারে থাকা অবস্থায়ই তার বিরুদ্ধে ইরানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ রয়েছে। তার পরিবার এ রায়ের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ২০২১ সালের মার্চ থেকে এ নিয়ে তাকে পঞ্চম মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হলো। সর্বশেষ এ বিচারের ঘটনায় অবশ্য নার্গিস উপস্থিত ছিলেন না এবং তার অনুপস্থিতিতেই এ রায় জারি করা হয়েছে।

নার্গিস মোহাম্মদি কয়েক দশক ধরে ইরানে মানবাধিকারের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি তার এ কর্মকাণ্ডের কারণে দুই দশক ধরে কারাগারে এবং বাইরে রয়েছেন। তাকে ১৩ বার গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ৩১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এদিকে অতিরিক্ত এ ১৫ মাস কারাগারে থাকার পাশাপাশি নতুন সাজার অধীনে নার্গিস মোহাম্মদিকে তেহরানের বাইরে দুই বছর নির্বাসনে কাটানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ হলো- তাকে কুখ্যাত এভিন কারাগার থেকে সরিয়ে নিতে হবে, যেখানে তাকে বর্তমানে বন্দি রাখা হয়েছে।

রায়ে আরো বলা হয়েছে, কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মোহাম্মদিকে দুই বছরের জন্য বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হবে এবং একই সময়কালের জন্য রাজনৈতিক ও সামাজিক গোষ্ঠীর সদস্যপদ নেওয়া ও নিজের কাছে মোবাইল ফোন রাখা থেকেও নিষিদ্ধ করা হবে। ৫১ বছর বয়সি এ মানবাধিকার কর্মী অসংখ্য হুমকি এবং গ্রেপ্তার হওয়া সত্ত্বেও তার কাজ চালিয়ে গেছেন। ইরানে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তিনি ২০২৩ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছেন।

তার সন্তানরা গত বছরের অক্টোবরে অসলোর সিটি হলে তার পক্ষে পুরস্কারটি গ্রহণ করে। যদিও তাদের সন্তানরাই অনেক বছর ধরে তাদের মাকে দেখেনি। সে সময় সন্তানরা কারাগার থেকে পাঠানো তার মায়ের একটি বক্তব্য পড়ে শোনান। সেখানে মোহাম্মদি ইরানের ‘অত্যাচারী’ সরকারের নিন্দা করেন। সে সময় তিনি বলেন, ‘আমি কারাগারের উঁচু, ঠাণ্ডা দেয়ালের আড়াল থেকে এ বার্তাটি লিখছি। ইরানের জনগণ, অধ্যবসায়ের সঙ্গে, দমন-পীড়ন ও কর্তৃত্ববাদকে জয় করবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close